করোনায় শনাক্তের সংখ্যা ও হার দুই–ই কমল
দেশে নতুন করোনা রোগী এবং পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দিন দিন কমছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭৯৯ জন।
আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আগের দিনের তুলনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বাড়লেও নতুন রোগী ও রোগী শনাক্তের হার কমেছে। আগের দিন ৮৯৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের।
২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৩ হাজার ৮১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩৫। আগের দিন এ হার ছিল ৩ দশমিক ৬৫। এ নিয়ে ৪ দিন ধরে শনাক্তের হার ৫-এর নিচে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারণ করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে রোগী শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এর বাইরে রাজশাহীতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ঢাকা, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা যান। বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।
দেশে করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে রোগী বাড়তে শুরু করে। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রভাবে দ্রুত বাড়তে থাকে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার। গত ৬ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। এর দুই সপ্তাহের মাথায় ২০ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় দৈনিক রোগী শনাক্ত ১৫ হাজারের ওপরে উঠেছিল। গত ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা ১০ হাজারের ওপরে ছিল। এরপর নিয়মিত রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমছে। দেশে করোনার সংক্রমণ কমায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ৩৭৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ২২ হাজার ১২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬০ জন।