করোনা টিকার নিবন্ধনে সুরক্ষা অ্যাপের উদ্বোধন
করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় গতি আনতে ‘সুরক্ষা’ নামের অ্যাপ উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই অ্যাপ উদ্বোধনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন যেকোনো ব্যক্তি সরাসরি নিবন্ধন করতে পারবেন। অর্থাৎ সিস্টেমটা আরও সহজ হয়ে গেল এবং রেজিস্ট্রেশনের গতি আরও বেড়ে গেল।’
করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে সুরক্ষা নামের এই অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে আপলোডের কথা থাকলেও এটি নানা জটিলতায় আটকে ছিল। সেই অ্যাপ অবশেষে উন্মুক্ত হলো। এখন থেকে অ্যাপটি পাওয়া যাবে গুগল প্লে স্টোরে।
অনেক প্রতিকূল অবস্থায় আমাদের কাজ করতে হয়েছে। এই টিকা নিয়েও অনেকে অনেক কথা বলেছেন। সেই কথাগুলো ধোপে টেকেনি, হাওয়ার মতো উড়ে গেছে। এখন সবাই টিকা নিচ্ছেন। আমরাও চাইছি, মানুষ এগিয়ে আসুক, টিকা নিক। প্রতিটি কেন্দ্রে যে সুন্দরভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে, সবাই খুবই আনন্দের সঙ্গে ফেস্টিভ মুডে টিকা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত একজন ব্যক্তিরও কোনো অঘটনের কথা আমরা শুনিনি যে শারীরিকভাবে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই টিকা সবচেয়ে ভালো ও সহনশীল বলে প্রমাণিত হয়েছে
অ্যাপ উদ্বোধনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা একটি অ্যাপ উদ্বোধন করেছি। এর আগে আমরা সুরক্ষা নামে একটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তৈরি করেছিলাম, যার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে মানুষ নিবন্ধিত হচ্ছিল। তার পাশাপাশি আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। সেটি হলো আমরা একটা অ্যাপ তৈরি করলাম—সুরক্ষা অ্যাপ। এখন যেকোনো ব্যক্তি সরাসরি নিবন্ধন করতে পারবেন।
র্থাৎ সিস্টেমটা আরও সহজ হয়ে গেল এবং রেজিস্ট্রেশনের গতি আরও বেড়ে গেল।’
মন্ত্রী জানান, করোনার টিকার জন্য ইতিমধ্যে প্রতিদিন তিন লাখের মতো রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে এবং রোজ সোয়া দুই লাখ টিকা দেওয়া হচ্ছে। দেশে প্রায় এক হাজার কেন্দ্র ও তিন থেকে চার হাজার বুথ আছে, যেখানে পুরুষ ও নারীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৫ লাখেরও বেশি লোক টিকা নিয়েছেন। আজকেরটা ধরলে সংখ্যাটা ১৭ লাখ হয়ে যাবে। আর নিবন্ধনের সংখ্যা হবে ২৭ লাখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক প্রতিকূল অবস্থায় আমাদের কাজ করতে হয়েছে। এই টিকা নিয়েও অনেকে অনেক কথা বলেছেন। সেই কথাগুলো ধোপে টেকেনি, হাওয়ার মতো উড়ে গেছে। এখন সবাই টিকা নিচ্ছেন। আমরাও চাইছি, মানুষ এগিয়ে আসুক, টিকা নিক। প্রতিটি কেন্দ্রে যে সুন্দরভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে, সবাই খুবই আনন্দের সঙ্গে ফেস্টিভ মুডে টিকা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত একজন ব্যক্তিরও কোনো অঘটনের কথা আমরা শুনিনি যে শারীরিকভাবে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই টিকা সবচেয়ে ভালো ও সহনশীল বলে প্রমাণিত হয়েছে।’
সুরক্ষা অ্যাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে করোনার টিকা প্রসঙ্গে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা জানুয়ারিতে যে ৫০ লাখ টিকা পেয়ে গেছি, ওটা অগ্রিম পেয়েছি। এটা ফেব্রুয়ারিতে আসার কথা ছিল। কাজেই এই মাসে যদি ২০ লাখ আসে, তাহলে মনে করেন এটা অতিরিক্ত পাচ্ছি। আপনাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই, সবকিছু চুক্তি অনুযায়ী হচ্ছে।’
টিকার দ্বিতীয় লটটা কবে আসবে—এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান বলেন, ‘এই ২২ তারিখে (ফেব্রুয়ারি) আসছে, আবার সামনের মাসে আসবে। প্রত্যেক মাসেই আসবে।’