করোনাকালে গ্রাম–শহর
২০২০ সালে শহরের চেয়ে গ্রাম কেন ভালো ছিল
গ্রামীণ অর্থনীতি ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসের ক্ষতি পরের ৭ মাসে অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছিল। মূল ভূমিকা ছিল প্রবাসী আয় ও কৃষি।
কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী আর কালীগঙ্গা নদীর পাড়ের জনপদ পাড়াগ্রাম। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে যখন সারা দেশে কঠোর লকডাউন, তখন এক দুপুরে সেখানকার সিংজোড় বাজারের পরের মাঠে বসে ছিলেন কয়েকজন মানুষ। বৃদ্ধ কৃষক ছন্দু মিয়া (৮০) তাঁর শুকানো পাটের স্তূপের দিকে তাকিয়ে আছেন। পাট হাটে নেবেন, কিন্তু হাট বসছে না। ব্যাপারীর গুদামে দেবেন, কিন্তু রাস্তায় গাড়ি চলছে না। খুদে দোকানদার আফাজ মিয়া বলছিলেন, ‘কী করুম, খাওয়া কমাইছি। দুই বেলা খাই, এক বেলা ঝিমাই’। খালি অটোরিকশা রাস্তায় রেখে তাঁদের সঙ্গে বসে ছিলেন তিনজন অটোচালক। যাত্রী নাই, পথে পথে পুলিশের ভয়। রোজগার না হলে কীভাবে বাড়িতে খাওয়া চলবে, সেই ভয় নিয়ে মাঠে বসে ছিলেন। তাঁদের একজন রেজাউল বলছিলেন, ‘আগের বছর তো লকডাউন এইহানে আহে নাই। আমরা খাইয়া-পইরা চলবার পারছি না? পারছি তো। কিন্তু এইবার কী অইবো, আল্লায় জানে।’
কেরানীগঞ্জের পাড়াগ্রামের কৃষকের হাটে কথা হয় রাজমিস্ত্রি রহমানের (৬৫) সঙ্গে। বলছিলেন, ‘কাম-কাজ পাই না, খামু কী। সারা দিন পরে এক বেলা খাই। কোনো দিন দুই বেলা। গত বছরের চাইতে এইবারে সমস্যা হইতেছে বেশি।’
গেরামে কেউ না কেউ দেখবোই
যুদ্ধ অথবা বিপর্যয়ে বাংলাদেশের মানুষ গ্রামে আশ্রয় নেয়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তা হয়েছে, চলমান করোনা মহামারির সময়েও জনস্রোত গ্রামমুখী হয়েছে। প্রতিবার লকডাউন অথবা বড় ছুটির আগে আগে এই গ্রামযাত্রার ঢল দেখা যায়। রোজার ঈদের আগে খুলনাগামী এক যাত্রী মাওয়া ফেরিঘাটে এই প্রতিবেদককে বলেছিলেন, ‘গ্রামে অন্তত না খাইয়া থাকপো না। কেউ না কেউ দেখবোই, ঢাকায় তো সবাই যার যার ধান্ধায় থাকে, ঢাকায় থাকলে কিছু দিব?’
২০২০ সালের মতো ২০২১ সালেও করোনাজনিত আর্থিক সংকটে পড়া সাধারণ মানুষ গ্রামের বাড়িতেই ভরসা খুঁজেছেন। তাঁদের যুক্তি হলো, নগরের চেয়ে গ্রাম বেশি নিরাপদ এবং অভাবও সেখানে কম (দেখুন: ‘দ্যাশ-গেরাম ঢাকার চাইতে বেশি নিরাপদ’)। এই কাণ্ডজ্ঞানের স্বীকৃতি দিয়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা জরিপের ফলাফল। জরিপটি দেখাচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসের ক্ষতি পরের ৭ মাসে অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছিল। সংকট সামলানোয় মূল ভূমিকা রেখেছিল প্রবাসী আয়। তারপরে প্রধান সহায় ছিল কৃষিজ আয়।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে পরিচালিত ওই গবেষণায় জড়িত তিনজন হলেন জাপানের ৎসুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আব্দুল মালেক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ইনস্টিটিউটের (এডিবিআই) গবেষণা সহযোগী ড. হোয়া টি. ত্রুয়োং এবং এডিবিআই, টোকিও-জাপানের ডিন ড. তেতসুশি সোনোবে। টোকিওভিত্তিক এডিবিআই বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সরকারসংশ্লিষ্ট গবেষণা সংস্থা। জরিপে সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল বাংলাদেশের বেসরকারি জরিপ সংস্থা সোশিওকনসাল্ট লিমিটেড। এই জরিপে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রয়াত কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব হোসাইনের নামে প্রতিষ্ঠিত মাহবুব হোসাইন প্যানেল ডেটা বা এমএইচপিডির নমুনা ব্যবহার করা হয়। তিন দশক ধরে এমএইচপিডি গ্রামীণ অর্থনীতির রূপান্তর পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে।
জরিপ পরিচালিত হয়েছে তিন ধাপে। প্রথম ধাপ অর্থাৎ মার্চ-মে ছিল লকডাউন, জুন-আগস্ট আংশিক লকডাউন এবং সেপ্টেম্বর-জানুয়ারি ছিল খোলা বা পুনরুদ্ধার পর্ব। নতুন দরিদ্র বলে যা দেখা যাচ্ছে, তা সৃষ্টি হয়েছে প্রথম পর্যায়ে। মুহম্মদ আব্দুল মালেক বলেন, এবারে যেহেতু গ্রামেও করোনা ছড়াচ্ছে এবং লকডাউন গ্রামেও চলেছে, সেহেতু গ্রামের অর্থনীতি গতবারের চেয়ে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া প্রবাসী আয়ের প্রবাহও এ বছর কম হতে পারে।’
মুহম্মদ আব্দুল মালেক বলেন, ‘রেমিট্যান্সের অর্থ কেবল সংসার খরচে নয়, গ্রামীণ কৃষি ও অকৃষিজ ব্যবসায়ও তা বিনিয়োজিত হয়েছিল। গত বছর কৃষক ধানের দামও ভালো পান। তাই দেখা যায়, ২০২০-এর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর নাগাদ গ্রামীণ সমাজের একেবারে তলার অংশ মোটামুটি ধাক্কা সামলে নেয়।’
৩ মাসের ধাক্কা সামলাতে লেগেছে ৭ মাস
জরিপটি বলছে, গত বছরের মার্চ থেকে মে—এই তিন মাসে গ্রামের গরিবদের চেয়ে ধনীদের খাদ্য বাবদ খরচ ছিল ৪ গুণ বেশি। অর্থাৎ গরিবদের খাদ্য গ্রহণ অনেক কমে গিয়েছিল। ওই সময়ে বাংলাদেশে প্রথম আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে লকডাউন আরোপ করা হয়। তখন বোরো ধান কাটার শ্রমিক পেতে অসুবিধা, খামারি পণ্য বিক্রিতে সমস্যা, শ্রমিক ও কাঁচামাল সরবরাহে ব্যাঘাত, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে আসা এবং অকৃষি পণ্য বিক্রিতে মন্দা লক্ষ করা যায়। এসবের প্রভাবে গ্রামীণ পরিবারগুলো অভাবে পড়ে খাওয়া কমিয়ে দেয়।
কিন্তু ৯ মাস পর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে উভয় শ্রেণির মধ্যে খাদ্য খরচের ব্যবধান ৪ গুণ থেকে দ্বিগুণে নেমে আসে। অর্থাৎ বছরের শেষে গ্রামীণ গরিবেরা হারানো খাদ্য-সামর্থ্যের কিছুটা ফিরে পান। আবার যে সময়টায় গ্রামীণ অর্থনীতি প্রাণ ফিরে পাচ্ছিল, সেই ২০২০-এর অক্টোবর-নভেম্বরে দেশে খাদ্যমূল্যও ছিল বেশি। তা সত্ত্বেও খাদ্যপণ্য কেনার সক্ষমতা কিছুটা বাড়া মানে অভাব কিছুটা কমেছে।
গরিবেরা গরিবই আছে, ধনীদের হাতটান
গবেষণায় ২০২০-২১ সালের তিন পর্যায়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখতে পান, ২০২০-এর সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যেই কৃষি ও অকৃষিপণ্যের ব্যবসা এবং প্রবাসী আয় বাড়ে। কৃষি মজুর পাওয়ার সমস্যাও কমে। শ্রমিকের অভাব নিয়ে অভিযোগ ২০ শতাংশ থেকে নেমে আসে ৯ শতাংশে। বাড়ে গৃহস্থালি খরচের সামর্থ্য। পরিবারগুলোতে খাদ্যের গুণগত মান ও পরিমাণও জানুয়ারি ২০২১ নাগাদ বাড়ে। প্রশ্ন করা হলে ৪৪ শতাংশ পরিবার জানায়, মহামারির আগের চেয়ে (ফেব্রুয়ারি ২০২০) বর্তমানে (জানুয়ারি ২০২১) তাঁদের আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। কিন্তু গ্রামের অন্যদের তুলনায় পরিস্থিতি কতটা বদলেছে? এর উত্তরে দরিদ্র ও অতিদরিদ্রদের অধিকাংশই জানান, অবস্থা একই রয়েছে। তবে ধনীদের অনেকে বলেছেন, তাঁদের হিসাব করে চলতে হচ্ছে। এই সময়ে সারা দেশে গ্রামে উন্নতি হয়েছে ৩ শতাংশ পরিবারের, অবস্থা একই থেকেছে ৫৩.২ শতাংশের এবং অবনতি হয়েছে ৪৩.৮ শতাংশের।
প্রতিবেশীর সাহায্যই ছিল বেশি
গবেষণা জরিপের আরেকটি লক্ষণীয় বার্তা হলো, গ্রামের অভাবীরা সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে খাদ্য সাহায্য পেলেও অর্থ সাহায্য বেশি পেয়েছেন ধনী আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের থেকে। লকডাউনের মধ্যে ৯ জুলাই কথা হয় নবাবগঞ্জের মুন্ডা গ্রামের দিনমজুর বৃদ্ধ জয়নব আলীর সঙ্গে। গত তিন–চার মাস কাজ পান না। তাই ‘হাওলাত কইরা চলতেছি’। ওই গ্রামের অবস্থাপন্ন কৃষক আখতার হোসেন বলেন, ‘পাড়া–প্রতিবেশীরা আইসা কয়, মামা ৫ কেজি ধান দেও, আমি দিই। গরিব আত্মীয়গোরে টেহাও (টাকা) দিছি। কিন্তু এই বছর আর আগের মতোন পারতাছি না।’ জরিপে দেখা যায়, গত বছরের মার্চ-মে মাসে চলা লকডাউনে সাহায্য পেয়েছে ২৫ শতাংশ পরিবার। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরকারি, বেসরকারি, সচ্ছল প্রতিবেশী—সবার কাছ থেকেই পেয়েছে। কিন্তু পরে সেটাও কমে গেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে মাত্র ৮ শতাংশ এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৬ শতাংশ সহায়তা পেয়েছে।
গ্রাম কেন পেরেছিল
২০২০ সালে গ্রামীণ দরিদ্রদের করোনা মোকাবিলায় তুলনামূলক ভালো অবস্থানের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং বর্তমানে পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাকের চেয়ারপারসন অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমানের কাছে। তিনি গ্রামীণ অর্থনীতির ঘাতসহতার পেছনে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেন, এগুলো হলো: ১. গ্রামীণ অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে অতটা সংযুক্ত নয়। তাই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের ঢেউ সেখানে কম লেগেছে। ২. গত বছর প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ভালো ছিল, ৩. প্রাকৃতিক বিপর্যয় কম ছিল, ৪. সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি মূলত গ্রামকেন্দ্রিক এবং ৫. গত বছর গ্রামে করোনা সংক্রমণ শহরের তুলনায় কম ছিল। তাই লকডাউনজনিত জীবনযাত্রার স্থবিরতাও কম ছিল।
হোসেন জিল্লুর আরও জানান, প্রাক্-কোভিড সময়ের তুলনায় গত বছর অন্যান্য পেশার চেয়ে কৃষির প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ বেশি ছিল। এডিবিআইয়ের গবেষণায়ও দেখা যায়, গত বছর প্রবাসী আয়ের প্রবাহ শেষের দিকেই বাড়ে। বছরের শুরু ও মাঝে কৃষকেরা ধানের দামে লোকসানি দিলেও শেষের ধাপে মোটামুটি ন্যায্য দাম পান। এটাও দেখা যায় যে লকডাউন না থাকলেই কৃষক ধানের দাম তুলনায় বেশি পান।
‘নতুন দরিদ্র’ নাকি ‘সাময়িক দরিদ্র’ বিতর্ক
এডিবিআইয়ের জরিপের আগে তিনটি জরিপের সিদ্ধান্ত জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত হয়। এর একটি চালায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম, পরপরই আসে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) জরিপ। সর্বশেষ গবেষণা তথ্য প্রকাশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
এসব প্রতিবেদন মোটামুটিভাবে একমত যে কোভিডের আঘাতে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। হোসেন জিল্লুর বলেন, ‘২০২০-এর এপ্রিলে আমরা দেখতে পাই, নতুন দরিদ্র হয়েছে ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ। এরপর ২০২১ সালের মার্চে এসে এই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় প্রায় আড়াই কোটিতে। এর অর্থ ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এই সময়ে দারিদ্র্য থেকে পুনরায় বেরিয়ে আসতে পেরেছিল। ২০২১–এর মার্চ পর্যন্ত যে আড়াই কোটি লোক বেরোতে পারল না, দেখতে হবে এটা কি সেই পুরোনো দারিদ্র্যের ফাঁদ বা পভার্টি ট্র্যাপ কি না। নতুন লকডাউনে এই সংখ্যা আরও বাড়ার কথা। আগামী আগস্ট মাসে নতুন জরিপের মাধ্যমে আমরা সেই তথ্য জানতে পারব।’
যারা সাধারণত দারিদ্র্যসীমার ওপরেই বসবাস করে, কিন্তু যেকোনো অভিঘাতে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারে, তাদের নতুন দরিদ্র হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কেউ কেউ আবার এদের বলছেন ‘সাময়িক দরিদ্র’। ২০২১–এর জানুয়ারির মধ্যে তাদের সংখ্যা কমে এলেও মে মাসেও আড়াই কোটি নতুন দরিদ্র দেখতে পায় তিনটি বেসরকারি জরিপ। এদের দেখা হচ্ছে মহামারি ও সরকারি বিধিনিষেধের যুগল ফল হিসেবে। নতুন দরিদ্র বা সাময়িক দরিদ্র—যা-ই বলা হোক না কেন, জাপানভিত্তিক এডিবিআইয়ের গবেষণা দেখাচ্ছে, নতুন দরিদ্রদের বেশির ভাগই শহরের। অর্থাৎ গ্রামে দরিদ্রায়ন হয়েছে কম।
যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ
২০২১–এর জুনের শেষে যে লকডাউন চলেছে, তা নতুন দরিদ্রদের একটা অংশকে স্থায়ীভাবে দারিদ্র্যের ফাঁদে স্থায়ীভাবে আটকে রাখবে বলে আশঙ্কা। তবে করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরনের প্রকোপ গ্রামেও দেখা যাওয়ায় এবার লকডাউনের আওতায় গ্রামও পড়েছে। সুতরাং শহরের পাশাপাশি কর্মহীনতা ও ক্ষুধার ঢেউ গ্রামকেও আক্রান্ত করছে। ২০২০ সালের মতো আপেক্ষিক নিরাপত্তা ২০২১–এর গ্রামবাংলার থাকবে না। কাজেই ২০২০–এর গ্রামবাংলার দেখা ২০২১-এ পাওয়া কঠিন হতে পারে। এই কথাটাই নিজের মতো করে বললেন নবাবগঞ্জের বৃদ্ধ কৃষক ছন্দু মিয়া—যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ।