ড. ইউনূসের ওপর হয়রানি বন্ধ করা উচিত: মাহবুব উদ্দিন খোকন
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি ও অপমান করা হচ্ছে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ড. ইউনূসের ওপর এই হয়রানি বন্ধ করা উচিত।’
আজ বুধবার দুপুরে হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় আজ মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘এই ব্যক্তিটাকে (ড. ইউনূস) কীভাবে হয়রানি করছে, তা অকল্পনীয়। মনে করি, যারা হয়রানি করছে, তাদের সম্মান নষ্ট হচ্ছে, সরকারের সম্মান নষ্ট হচ্ছে, বাংলাদেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। তাঁর সম্মান নষ্ট করতে গিয়ে যাঁরা তাঁকে…বিভিন্নভাবে হয়রানি ও মামলা করছেন, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আবার কেউ কেউ বলেন, উনি নোবেল পুরস্কার পেলেন কেন, এটাই বোধ হয় তাঁর দোষ। নোবেল পুরস্কার তিনি নিজে নিজেকে দেননি। কমিটি আছে, তারা মুহাম্মদ ইউনূসকে দিয়েছে। এ জন্যই তাঁর প্রতি হিংসা, বিদ্বেষ হয়তো হতে পারে, লোকজন বলছেন।’
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আমি মনে করি, মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর এই হয়রানি বন্ধ করা উচিত। ঢাকার আদালতে অনেকেই যায়, সবাইকে কি কাঠগড়ায় খাঁচার ভেতরে রাখে? অপমানের সীমা কোথায় যেতে পারে। মুহাম্মদ ইউনুসের মতো লোককে খাঁচার ভেতর ঢোকানো হয়েছে। মানে আমরা এখানে কাউকে সম্মান দিতে জানি না। শুধু আমারে সম্মান দিলেই আমি খুশি। আর কেউ সম্মান পাক, চাই না।’
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আজকে আমরা অনেকক্ষণ খাঁচার (আসামির কাঠগড়া) মধ্যে ছিলাম। বলা হয়েছিল, আপনি থাকেন। কিন্তু আমরা সারাক্ষণ লোহার খাঁচার মধ্যে ছিলাম। আমি আগেও প্রশ্ন তুলেছি, এটা ন্যায্য হলো কি না? আমি যত দূর জানি, যত দিন আসামি অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছেন, তত দিন তিনি নিরপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবেন।’