ডেঙ্গুতে মাত্র ৯ দিনেই ১২৩ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে মৃত্যু কমছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার সকাল আটটা থেকে গতকাল শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় মারা গেছেন পাঁচজন। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২ হাজার ৭৪৮ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এ মাসের প্রথম ৯ দিনেই মারা গেছেন ১২৩ জন। সব মিলিয়ে চলতি বছর এখনো পর্যন্ত মারা গেছেন ৭১৬ জন।
আর গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ২২৬ জন। এর মধ্যে ৭৯ হাজারের বেশি ঢাকার বাইরের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আক্রান্তের সংখ্যা ঢাকার বাইরে বেশি হলেও মৃত্যু বেশি ঢাকায়। এ পর্যন্ত ঢাকায় মারা গেছেন ৫১৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ২০৩ জন।
সরকারের তথ্য বলছে, নারীদের চেয়ে পুরুষেরা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ নারী। যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে ৪১৮ জন নারী এবং পুরুষ ২৯৮ জন। সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছেন ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা, যা মোট মৃত্যুর ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। মোট আক্রান্তের ৪১ শতাংশ এই বয়সীরা।
চিকিৎসকেরা বলছেন, অনেক রোগী দেরিতে এবং পরিস্থিতি অনেক জটিল হওয়ার পর হাসপাতালে আসছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যালোচনা বলছে, ৫৫ শতাংশ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হচ্ছে হাসপাতালে পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা আশঙ্কা করছেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর বর্তমান ধারা আরও কিছুদিন একই থাকবে। হঠাৎ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কমে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা না কমলে মৃত্যুও কমবে না।