চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন
ছবি: পিআইডি

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার সকালে চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এবং বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বৈঠক করেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাম্প্রতিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সি চিন পিংয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ আলোচনা করেন।

২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারত্ব’ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেন।

বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারকসহ (এমওইউ) ২১টি দলিলে সই করে।

অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

সি চিন পিং ও লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সম্পূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

রোহিঙ্গা সমস্যা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বাণিজ্য ও উন্নয়নে সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো আলোচনায় প্রধান্য পেয়েছে।

চীনের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সোমবার বিকেলে তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে বেইজিং পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এটি প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ চীন সফর (২০১০, ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪)। দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করবে।

গত ২১ থেকে ২২ জুন ভারত সফরের ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই চীন সফর হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফর করেন। তিনি মহান নেতা মাও সে–তুং এবং চৌ এনলাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।  

জাতির পিতার চীন সফরের পর তিনি চীনা নেতৃত্ব এবং তাদের নীতির প্রতি তার প্রশংসা প্রতিফলিত করে ‘আমার দেখা নয়া চীন’ শিরোনামের একটি বই লিখেছেন।