ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা সাড়ে তিনটা। রাজধানীর মিরপুর কালশীর বাউনিয়া বাঁধ সি-ব্লকের আরবান স্কুলের মাঠে ছয় বছর বয়সী ফাতেমা এসেছিল মায়ের সঙ্গে। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে সে। মা অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। নতুন জামা দিয়ে কী করবে, জানতে চাইলে ফাতেমা মুচকি হাসি দিয়ে বলে, ‘ঈদের দিন পরব।’
আরেক শিশু ইতুর বয়স পাঁচ বছর। সে তার ফুফুর সঙ্গে এসেছে। তাকেও নতুন জামা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফাতেমা ও ইতুর মতো অনেক শিশুকে নতুন জামা ও তাদের পরিবারকে ঈদের খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়েছে বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক বলেন, ‘এটা আপনাদের জন্য প্রথম আলো বন্ধুসভার ঈদ উপহার। সারা দেশে বন্ধুসভার বন্ধুরা নিজেদের খরচের একটা অংশ বাঁচিয়ে প্রতিবেশীর হক আদায় করছে। আপনারা আমাদের প্রতিবেশী। তাই আজ ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এসেছি।’
এবার ঢাকায় তিন ধাপে ‘সহমর্মিতার ঈদ’ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদ। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মল্লিক বলেন, ‘কালশীতে প্রথম ধাপের বিতরণ শেষ হলো। দ্বিতীয় ধাপে শ্যামলী ও তৃতীয় ধাপে যাত্রাবাড়ী এলাকায় উপহার বিতরণ করা হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলে বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের সহসভাপতি রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরী, বইমেলা ও ম্যাগাজিন সম্পাদক খায়রুন্নাহার খেয়া, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সহসভাপতি মাহমুদা মুহসিনা বুশরা প্রমুখ।