সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর পথ খুঁজতে বৈঠক ডেকেছে বিআরটিএ

বিআরটিএ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক পরিবারের ছয় ভাই সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমছেই না। এ পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা কীভাবে কমানো যায়, এই বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠক ডেকেছে পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। আজ বুধবার বেলায় ১১টায় বনানীতে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতা, বিশেষজ্ঞ ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের ডাকা হয়েছে।

তবে বিআরটিএ সূত্র বলছে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল আছে। করোনা মহামারিতে এই কাউন্সিলের বৈঠক হয়নি। এর বাইরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক নিরাপত্তা টাস্কফোর্স রয়েছে। এই টাস্কফোর্স প্রায়ই বৈঠক করে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর মতো কার্যকর উদ্যোগ নেই। এ পরিস্থিতিতে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতার সংস্থা বিআরটিএ বৈঠক ডেকেছে। সংস্থাটি মূলত সড়ক নিরাপত্তাসংক্রান্ত পোস্টার বিতরণ, সচেতনতামূলক কিছু সভা এবং নামমাত্র চালকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। যথাযথ পরীক্ষা নিয়ে চালকের লাইসেন্স দেওয়া, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং সড়ক পরিবহন আইনের প্রয়োগের বিষয়ে বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।

সরকারি হিসাবে, গত এক বছরে সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। সড়কে মৃত্যুর ঘটনায় থানায় করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও মামলার হিসাব থেকে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও প্রাণহানির তথ্য সংরক্ষণ করে পুলিশ। তাদের তথ্য অনুসারে, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮৮ জনের। এর আগের বছরে অর্থাৎ ২০২০ সালে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৯১৮ জন। পুলিশের হিসাবে, ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২ হাজার ৬৩৫ জন। আর ২০১৯ সালে দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ১৩৮ জনের মৃত্যু হয়।

অবশ্য পুলিশের হিসাবের সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠনগুলোর তথ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন। ২০২০ সালে মারা যান ৫ হাজার ৪৩১ জন।