স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা আত্মীয়র চেয়ে বড় আত্মীয়: পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়

স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবি : সংগৃহীত

রক্তদান একটি মহৎ কাজ। স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা আত্মীয়র চেয়েও বড় আত্মীয়। সত্যিকারের মানুষ হতে হলে রক্তদানের মতো এমন কাজে নিয়মিত অংশ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি হয়। অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩, ১০, ২৫ অথবা ৫০ বার রক্তদান করেছেন এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছায় রক্তদাতাকে সম্মাননা দেয় কোয়ান্টাম। এ সময় তাঁদের হাতে সনদ, বিশেষ পরিচয়পত্র ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের অভিনন্দন জানিয়ে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রক্তদানের মতো এমন সেবাকাজকে ব্রত হিসেবে নিতে পারাটাই প্রকৃত মনুষ্য ধর্ম। দেশে রক্তের চাহিদা পূরণে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের পক্ষে কথা বলেন সাজিদ রহমান। নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে কথা বলেন থ্যালাসেমিয়া রোগী ফাইজা মোস্তফা।

স্বাগত বক্তব্য দেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক (মোটিভেশন) এম রেজাউল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী।

বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় আট লাখ ব্যাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্তের চাহিদা রয়েছে। রক্ত ঘাটতির বিপুল এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। গত দুই দশকের প্রচেষ্টায় ১৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রেখেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।