সেই পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করা যায়নি

নারী নির্যাতন
প্রতীকী ছবি

কপালে টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক লতা সমাদ্দারকে হেনস্তা করা সেই পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, টিপ পরা সেই নারী শিক্ষককে হেনস্তাকারীকে শনাক্তে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কাজ করছে।

গতকাল শনিবার সকালে তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক লতা সমাদ্দার ফার্মগেট মোড় পার হয়ে তেজগাঁও কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের পোশাক পরা মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে বসে টিপ ‘পরছস কেন’ বলে তাঁকে বাজে কথা বলেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি তাঁর পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যান। ওই ঘটনায় করা লিখিত অভিযোগের বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তদন্ত করছে।

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া আজ রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, নারী শিক্ষককে হেনস্তাকারীকে চিহ্নিত করা যায়নি। নারী শিক্ষকের করা অভিযোগ অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তির পরনে পুলিশের পোশাক পরা থাকলেও তিনি ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত ছিলেন না। ঘটনাস্থল ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে মেট্রোরেলের কাজ চলমান থাকায় পদচারী–সেতুটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে ঘটনাস্থল ও এর আশপাশে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার সময় কর্তব্যরত ট্রাফিক সদস্য ও আশপাশে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেও নারী শিক্ষককে হেনস্তাকারী সম্পর্কে তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নারী শিক্ষকের দেওয়া মোটরসাইকেলের নম্বরের সূত্র ধরে হেনস্তকারীকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

অভিযোগের ছায়া তদন্ত করছে ডিবি তেজগাঁও বিভাগ। ওই বিভাগের উপকমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, হেনস্তকারীকে শনাক্ত করতে তাঁরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন।

টিপ পরা নিয়ে নারী শিক্ষককে হেনস্তার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ চলছে। এ নিয়ে জাতীয় সংসদের ভেতরে–বাইরে নিন্দা ও বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে।