সাঈদীর বিরুদ্ধে জাকাতের অর্থ আত্মসাতের মামলার শুনানি ফের পিছিয়েছে
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জাকাতের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পিছিয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন দিন ঠিক করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১–এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা এই আদেশ দেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, আসামিপক্ষ থেকে এই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিপক্ষের আবেদনের বিরোধিতা করে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন দিন ঠিক করেন।
জাকাতের ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ২০১০ সালের ২৪ মে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের তৎকালীন পরিচালক আইয়ুব আলী চৌধুরী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আজ সকাল ১০টার দিকে কারাগার থেকে পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে সাঈদীকে হাজির করা হয়। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম। লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, এই মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অনুলিপি পাননি। মামলার শুনানি শেষে বেলা ১১টার দিকে তাঁকে আবার আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, জাকাতের ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ২০১০ সালের ২৪ মে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের তৎকালীন পরিচালক আইয়ুব আলী চৌধুরী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছাড়া মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত অপর ছয়জন আসামি হলেন সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাহজাহান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মো. লুৎফুল হক, আবুল কালাম আজাদ, মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, তোফাজ্জল হোসেন এবং আবদুল হক। এঁদের মধ্যে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ মারা গেছেন। পলাতক আছেন আবুল কালাম আজাদ। বাকিরা জামিনে আছেন। আজ জামিনে থাকা চার আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারিতে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন সাঈদী গ্রেপ্তার হন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।