সহোদর দুই প্রতারক গ্রেপ্তার
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক পরিচয় দিয়ে দুই সহোদর বিভিন্ন বিভাগে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। এ ছাড়া তাঁরা ফৌজদারি মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দিতে বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারদের ফোন করে আসছিলেন। এসব অভিযোগে আজ সোমবার ভোরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) রাজধানীর খিলক্ষেতের রাজউক ট্রেড সেন্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দ্বীন ইসলাম (২৩) এবং তাঁর বড় ভাই মো. নুরুল ইসলাম (৩০)। তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন চার কর্মকর্তার সিলমোহর, পুলিশের মনোগ্রামসংবলিত নেভি ব্লু রঙের একটি ব্যাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্যাড ও দুই হাজার ইয়াবা বড়ি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব থেকে বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তার স্বাক্ষর করা চাকরিপ্রার্থীর ভুয়া প্রত্যয়নপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযান তদারকি কর্মকর্তা ডিবি উত্তর বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতারক দ্বীন ইসলাম মূল হোতা। জিজ্ঞাসাবাদে দ্বীন ইসলাম ডিবিকে বলেছেন, তাঁরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশীদ, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুল্লাহ আল শাহীন, দুদকের উপপরিচালক আবুল কালামের নাম-পদবি ব্যবহার করে গরিব ও অসহায় লোকজনকে চাকরির প্রলোভন দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতারকেরা জানান, কয়েক দিন আগে এক ব্যক্তিকে ফায়ার সার্ভিসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৭ লাখ এবং আরেকজনকে আনসার সদস্য হিসেবে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া তাঁরা ফৌজদারি মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দিতে বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারদের ফোন করে আসছিলেন। প্রতারকেরা ফোনের জন্য আসামিদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে আজ খিলক্ষেত থানায় প্রতারণার মামলা হয়েছে।
ডিবির কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, প্রতারকেরা মোট কতজনের কাছ থেকে কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তা জানতে তাঁদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে ঢাকা, গাজীপুর, বরিশাল ও বরগুনা জেলায় প্রতারণার মামলা রয়েছে।