সরকারি-বেসরকারি অফিসে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় এখন থেকে মাস্ক ছাড়া আসলে কাউকে সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলোতে সেবা দেওয়া হবে না। এ জন্য ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। বেসরকারি অফিসগুলোতে এই নীতি মানা হচ্ছে কি না তা পরিদর্শন করা হবে।
আজ রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় (কোভিড-১৯) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। এই বিষয়টি সাংবাদিকদের জানানোর সময় প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানান। তিনি জানান, অফিসের সামনে কাউকে মাস্ক ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হবে না-লেখাও থাকবে।
এর আগে সরকার বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছিল। কিন্তু এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে শিথিলতা দেখা যায়। এখন আসন্ন শীত মৌসুমে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিল সরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শীতকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই সব জায়গায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দেবেন তার সংশোধিত খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে অধ্যাদেশ আকারে জারি হওয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইনের খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়।
এটি মূলত নিয়ম রক্ষার জন্য করা হচ্ছে। কারণ কোনো আইন অধ্যাদেশ আকারে জারি হলে সেটা পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে বিল আকারে উত্থাপন করতে হয়। তারই অংশ হিসেবে এটির আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হলো।