রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটি তিন দিন সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। গত ২৮ জুন গঠন করা এই কমিটিকে পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
তদন্ত শেষ করতে আরও সময় লাগবে জানিয়ে আজ সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে আবেদন করা হয়। এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং বিস্ফোরক পরিদপ্তরের তদন্ত কমিটিও তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার এ কে এম রহমতউল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে কোনো ধরনের দুর্বলতা যেন না থাকে, সে জন্য তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময় আরও তিন দিন বাড়ানোর আবেদন করেছে। তবে এখনো সময় বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, জমে থাকা মিথেন গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে, এ বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত। ধারণা করা হচ্ছে, চোরাই লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে। তবে এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ কারণে তদন্ত শেষ করতে একটু সময় লাগছে। এ কমিটিকেও সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ও তদন্ত কমিটির সদস্য দিনমনি শর্মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। এখনো তদন্ত শেষ হয়নি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ না–ও হতে পারে। তবে সময় বাড়ানোর আবেদন করা হবে কি না, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দেখা যাক, কী হয়।
এদিকে বিস্ফোরক পরিদপ্তর বলছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করার পর মাত্র এক দিন কার্যদিবস পাওয়া গেছে। তারপর থেকে লকডাউন শুরু হয়। এ কারণে লকডাউন শেষ হওয়ার পর কার্যদিবস গণনা করা হবে। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, লকডাউন শুরুর কারণে অফিস বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এখন পর্যন্ত একটি মাত্র কার্যদিবস পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
গত ২৭ জুন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। গত ২৯ জুন বিস্ফোরণের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে রমনা থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত করছে পুলিশের সিটিটিসি ইউনিট।