শিগগির ভারতে পর্যটক ভিসা চালু হবে : দোরাইস্বামী
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় পর্যটক ছাড়া অন্য সব শ্রেণিতে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই পর্যটকদের জন্য ভারতীয় ভিসা দেওয়া হবে।
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী আজ বুধবার সকালে এয়ার বাবলের আওতায় চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সই হওয়া এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস আজ বুধবার থেকে ঢাকা-চেন্নাই-ঢাকা, চট্টগ্রাম-চেন্নাই-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে নির্ধারিত ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্যাপ্টেন শিকদার মেজবাহউদ্দিন আহমেদ।
বিক্রম দোরাইস্বামী সাংবাদিকদের বলেন, এয়ার বাবল বাস্তবায়নের জন্য দুই দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৪টি দেশের সঙ্গে ভারত এয়ার বাবল চুক্তি সই করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে যে বন্ধুত্ব সেটি দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি। দুই দেশের জনগণের জন্য এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলাচলের সুযোগ করে দেওয়া, এই বন্ধুত্বকে এগিয়ে নেওয়ার বড় উপাদান।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, করোনাভাইরাসের মতো মহামারির সময়ে নিরাপত্তা, সামাজিক দূরত্ব আর কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়েছে। ভারতীয় ভিসা সেবা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে এটুকু আশ্বাস দিচ্ছি। বাংলাদেশ থেকে যারা ভারত যেতে আগ্রহী তারা যাতে যেতে পারেন সেই চেষ্টা করছি। আমরা শিগগির পর্যটক ভিসা চালু করতে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে পর্যটক ছাড়া অন্যান্য সব শ্রেণিতে ভারতীয় ভিসা চালু রয়েছে।
পর্যটক ভিসা কবে থেকে চালু হবে জানতে চাইলে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, এ মুহূর্তে ভিসার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আশা করছি পর্যটক ভিসা দ্রুত চালু হবে। নির্দিষ্ট কোনো সময়ের কথা বলতে পারছি না।
প্রতিদিন গড়ে কত ভারতীয় ভিসা দেওয়া হয় এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে গড়ে সাত থেকে ১০ হাজার ভিসা দেওয়া হতো। করোনাভাইরাসের সময়ে তা এক হাজারে নেমে এসেছে। পুরোদমে ভিসা সেবা দিতে ভারতীয় হাইকমিশন তৈরি রয়েছে।