শঙ্কামুক্ত নন পা হারানো কৃষ্ণা চৌধুরী
বাসচাপায় পা হারানো বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী চৌধুরী এখনো শঙ্কামুক্ত নন। তাঁর বাঁ পায়ের ক্ষত স্থানে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। তাই আবারও অস্ত্রোপচার করানো হতে পারে।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় ট্রাস্ট পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পা হারান কৃষ্ণা রায় চৌধুরী। তিনি এখন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন আছেন।
বিআইডব্লিউটিসির চিফ মেডিকেল অফিসার খোন্দকার মাসুম হাসান প্রথম আলোকে বলেন, কৃষ্ণা রানীর বাঁ পায়ের কাটা অংশের ওপর ক্ষত স্থানে আজ শনিবার সকালে চতুর্থবারের মতো ড্রেসিং করানো হয়েছে। ড্রেসিং করানোর আগে সেখান থেকে বেশ কিছু টিস্যু ফেলে দিতে হয়েছে। এরপর আবারও ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রচণ্ড যন্ত্রণার কারণে তাঁকে হাই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। তাই কৃষ্ণা রানী চৌধুরী এখনো আশঙ্কামুক্ত নন।
খোন্দকার মাসুম হাসান বলেন, যন্ত্রণা না কমলে আবারও কৃষ্ণা রায়ের বাঁ পায়ে অস্ত্রোপচার করানো হতে পারে।
মাসুম হাসান জানান, আজ সকালে কৃষ্ণা রানী চৌধুরীকে দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে এসেছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। কৃষ্ণা রানীর চিকিৎসার জন্য তিনি সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় পঙ্গু হাসপাতালে তাঁর জন্য মেডিকেল বোর্ড বসবে। বৈঠকেই পুনরায় অস্ত্রোপচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কৃষ্ণা রানীকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় বাসের মালিক, চালক মোর্শেদ এবং চালকের সহকারীকে অভিযুক্ত করে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছেন তাঁর স্বামী রাধে শ্যাম চৌধুরী। মামলায় বাসচালকের নাম উল্লেখ করা হলেও দুই আসামি বাসমালিক ও চালকের সহকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে কৃষ্ণা রানীকে গুরুতর জখমের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও একজন আসামি ধরা পড়েনি বলে জানান তিনি।
আজ বিকেলে রাধে শ্যাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, থানাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের খবর থানা থেকে জানানো হয়নি।
কৃষ্ণাকে চাপা দেওয়ার এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চাইবেন কি না? জানতে চাইলে রাধে শ্যাম চৌধুরী বলেন, তাঁরা এতে ক্ষতিপূরণ চাইবেন। তবে কৃষ্ণা রানীর অফিস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা, চাকরির মেয়াদসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা হবে। পরে অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন।
মামলার বিষয়ে হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আসামি ধরা পড়ার বিষয়টি আমার নলেজে নেই। থানার ওসি স্যার আবদুল লতিফ ছুটিতে আছেন। তিনি মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে বলতে পারবেন।’