রাজধানীতে আরও তিনটি ইউটার্ন চালু
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় আরও তিনটি ইউটার্ন চালু করা হয়েছে। আজ রোববার ইউটার্নগুলো যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এগুলো হচ্ছে তেজগাঁও বিজি প্রেসের সামনে, নাবিস্কো-কোহিনূর কেমিক্যাল মোড় ও বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকা।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ডিএনসিসিতে মোট ছয়টি ইউটার্ন চালু হলো। এর আগে বিমানবন্দর সড়কে কাওলা ফ্লাইং একাডেমি এলাকা, উত্তরা র্যাব-১ কার্যালয়ের সামনের রাস্তা ও উত্তরা আজমপুর বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন এলাকায় তিনটি ইউটার্ন চালু করা হয়।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটির তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে উত্তরা হাউস বিল্ডিং পর্যন্ত এলাকায় আরও চারটি ইউটার্ন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে মহাখালী আন্তজেলা বাস টার্মিনালের সামনে, মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে, বনানী-কাকলি রেলস্টেশন ও বনানী ফ্লাইওভারের নিচে।
প্রকল্পের শুরুতে মোট ১১টি ইউটার্ন নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। পরে আর্মি গলফ ক্লাব–সংলগ্ন স্থানের ইউটার্নটি প্রথম সংশোধনী প্রকল্পে বাতিল করা হয়। এই প্রকল্পের মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তবে প্রথম সংশোধিত প্রাক্কলিত ব্যয় ৩১ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইউটার্নগুলো চালু করার ফলে সড়কে যানজট আরও কমে যাবে, বাঁচবে যাতায়াতের সময়। সব কটি ইউটার্ন চালু হলে বাসযাত্রী ও নগরবাসীর ভোগান্তি কিছুটা কমে যাবে। এই শহরকে সুন্দর করতেই হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রথম নির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক সাতরাস্তা মোড় থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কের ১১টি স্থানে ইউটার্ন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএম কনস্ট্রাকশন ইউটার্ন নির্মাণের কাজ শুরু করে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় প্রকল্পের অনুমোদন পেতেই লেগে যায় দুই বছরের বেশি সময়। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সংশোধিত প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।