মিথ্যা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেছিলেন মাদ্রাসাশিক্ষক
রাজধানীর মতিঝিলে গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসাশিক্ষক জসীম উদ্দিন তিন লাখ টাকা ছিনতাই হওয়ার যে অভিযোগ করেছিলেন, তা সঠিক নয়। ঋণ থেকে চাপমুক্ত থাকতেই তিনি ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. আ. আহাদ আজ রোববার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জসীম উদ্দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ওই দিন বেলা দুইটার দিকে মতিঝিলে একটি ব্যাংক থেকে তিন লাখ টাকা তুলে হেঁটে আরেকটি ব্যাংকে জমা দিতে যাওয়ার পথে স্থানীয় ঘরোয়া হোটেলের সামনে এক দুর্বৃত্ত তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে ছিনতাইকারীরা তাঁর কাছে থাকা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। জসীম মতিঝিলের জামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।
এ ঘটনার বিষয়ে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. আ. আহাদ রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দিন নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষক ছিনতাইয়ের কবলে পড়ার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কিন্তু তদন্তে ছিনতাইয়ের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, জসীম উদ্দিন পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেছেন, পুরো ঘটনা সাজানো। শ্যালক-শ্যালিকা, আত্মীয়স্বজনেরা তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা পান। কিছুদিন ধরে তাঁরা টাকা পরিশোধের চাপ দিচ্ছিলেন। চাপমুক্ত থাকতেই তিনি ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছিলেন। স্বজনদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই তিনি হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন।
মো. আ. আহাদ বলেন, জসীমের সব বক্তব্যই রেকর্ড করা আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আসলে সেদিন কোনো ছিনতাই হয়নি। তিনি গ্যাস্ট্রিকে ভুগছেন। অসুস্থতার মধ্যে কী বলতে কী বলে ফেলেছেন, তা তাঁর মনে নেই।