মা–বাবার পর চলে গেল ছোট্ট শিশু আয়শা
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ইজিবাইকের ব্যাটারির চার্জার বিস্ফোরণে দগ্ধ শিশু আয়শা আক্তার (৫) মারা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থিত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়শা মারা যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
একই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে আয়শার বাবা আবদুল মতিন ও মা ইয়াসমিন আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আগেই মারা যান। আয়শার বড় বোন শিশু মাইশা আক্তারও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে কামরাঙ্গীরচরের সিলেটি বাজারের একটি বাসায় বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। তাঁরা হলেন ইজিবাইকচালক মতিন (৪০), তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন (৩৫), তাঁদের দুই মেয়ে মাইশা (৯) ও আয়শা (৫) এবং ইয়াসমিনের ভাগনে রায়হান (২৫)। দগ্ধ পাঁচজনকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মতিন ও ইয়াসমিনের পর তাঁদের ছোট মেয়ে আয়শার মৃত্যু হলো।
পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মতিন ও ইয়াসমিনের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আর তাঁদের দুই মেয়ের ৪০ শতাংশের বেশি দগ্ধ। অন্যদিকে, রায়হানের শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
বিস্ফোরণের ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছিল, মতিন ঘুমানোর আগে প্রতিদিন ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ দিতেন। বৃহস্পতিবার রাতেও ব্যাটারি চার্জে দিয়ে ঘুমাতে গিয়েছিলেন তিনি। রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেখান থেকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে তাঁরা দৌড়ে বাইরে চলে আসেন। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।