মাদক মামলায়ও অব্যাহতি পেলেন ইরফান সেলিম
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ মামলায় ঢাকা-৭ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে দেওয়া পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার এই প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
গত ৫ জানুয়ারি এই মামলা থেকে ইরফান সেলিমের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদনটি জমা দেয় পুলিশ। আজ তা গৃহীত হওয়ায় এই মামলা থেকে ইরফান সেলিম অব্যাহতি পেলেন বলে আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের অপর একটি মামলায় ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে একই দিন (৫ জানুয়ারি) আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পুলিশ। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই প্রতিবেদন গ্রহণ করেন আদালত। ফলে, সেদিন ইরফান সেলিম অস্ত্র মামলায় অব্যাহতি পান।
ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা দুটি হয়েছিল রাজধানীর চকবাজার থানায়। দুটি মামলারই বাদী ছিল র্যাব। পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ধারাবাহিকতায় উভয় মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন ইরফান সেলিম।
র্যাবের মামলার এজাহারে বলা হয়, চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনের ২৬ নম্বরে রয়েছে ‘চান সর্দার দাদাবাড়ি’ ভবন। এই ভবনে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ কয়েকজন ব্যক্তি অবস্থান করছেন—এই খবরের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর র্যাবের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য ঘটনাস্থলে যান। সেখানে অভিযান চালিয়ে র্যাব অস্ত্র-মাদকসহ ইরফান মো. সেলিম ও জাহিদুল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের অভিযানের আগের দিন ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ইরফান, জাহিদসহ তাঁর আরও চার থেকে পাঁচজন সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পরদিন সকালে বাদী হয়ে নৌবাহিনী কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খান ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া মামলার নথিপত্রের তথ্য বলছে, ২৫ অক্টোবর রাতে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়ি তাঁর মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। ওই গাড়িতে ছিলেন হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান ও তাঁর লোকজন। ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিয়ে গাড়িটিকে থামতে ইশারা করেন। কথা বলতে চান। তখন তাঁকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন ইরফান ও তাঁর লোকজন।
ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ ও অসদাচরণের অভিযোগে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।