মধ্যরাতে ঢাবির হলে কক্ষ নিয়ে ছাত্রলীগে উত্তেজনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে একটি কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ বিরোধে জড়িয়েছে। একটি কক্ষে নিজেদের কর্মীদের রাখতে গেলে অন্য পক্ষের কর্মীরা ওই কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ নিয়ে বিরোধের জেরে পুরো হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে যায়। পরে দুই পক্ষের সমঝোতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে বিরোধের সূত্রপাত। এর জেরে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে উত্তেজনা। গত মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর কক্ষ দখল নিয়ে ছাত্রদের হলগুলোতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষ বিরোধে জড়িয়েছে। কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শুধু এ এফ রহমান হলেই একাধিকবার ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
স্যার এ এফ রহমান হলের একাধিক ছাত্র প্রথম আলোকে বলেন, হলের ২১২ নম্বর কক্ষটি আগে থেকেই হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম শাহরিয়ারের অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে। তবে কক্ষটিতে এখন সভাপতির পক্ষের কয়েকজনও থাকছেন। মঙ্গলবার রাতে সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ নিজেদের কয়েকজন কর্মীকে ওই কক্ষে তুলতে গেলে সভাপতির পক্ষের কর্মীরা বাধা দেন। একপর্যায়ে ওই কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন সভাপতির অনুসারীরা। কক্ষটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান।
জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘২১২ নম্বর কক্ষে আমার পক্ষের নেতা-কর্মীরা থাকেন। ওই কক্ষে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাঁদের কর্মীদের তুলতে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমস্যা হয়েছিল। আমরা আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করছি।’
হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম শাহরিয়ার মুন দাবি করেন, ২১২ নম্বর কক্ষটি তাঁদের পক্ষের। ওই কক্ষে তাঁরা শিক্ষার্থী তুলতে গেলে সভাপতির অনুসারীরা দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে প্রাধ্যক্ষ হলে এসেছেন। আমরা (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির দ্রুত সমাধান করছি।’
এ বিষয়ে জানতে স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খানের মুঠোফোনে কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।