বিশেষজ্ঞদের একহাত নিলেন মেয়র তাপস
‘বিশেষজ্ঞরা ঘটনা ঘটে গেলে অনেক বড় বড় পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু ঘটনা ঘটার আগে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি, সে পরামর্শ দেন না।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব কথা বলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর পান্থপথ পার্ক–সংলগ্ন এলাকায় অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন- এসটিএস) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মেয়র তাপস।
মশার উপদ্রব ঠেকাতে নতুন কৌশল ও কীটনাশক আগে কেন পরিবর্তন করা হয়নি—সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমি একটি বিষয়ে আপনাদেরকে পরিষ্কার করতে চাই, আমাদের বিশেষজ্ঞ যাঁরা আছেন, তাঁরা ঘটনা ঘটে গেলে অনেক বড় বড় পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু ঘটনা ঘটার আগেই আমাদের কী করণীয়, আমরা কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি, সে পরামর্শ আমরা পাই না।’
এ প্রসঙ্গে শেখ ফজলে নূর তাপস আরও বলেন, ‘আমাদেরকে বলা হয়েছিল, ডেঙ্গুর প্রকোপটা যেহেতু আছে, তাই সেই কার্যক্রমকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চালিয়ে নিতে। কিন্তু সেই কার্যক্রমটা ভুল ছিল। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদেরকে কিউলেক্স মশার বিরুদ্ধে কার্যক্রম নেওয়া উচিত ছিল। কারণ, পানি বদ্ধ হয়ে যাচ্ছিল।’
মেয়র শেখ তাপস এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আমরা যদি খালগুলো আরও দুই মাস আগে পেতাম, তাহলে হয়তোবা আমরা বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম আরও বেগবান করতে পারতাম। তাহলে ধীরে ধীরে কিউলেক্স মশার প্রভাব কমে যেত। আমরা কীটনাশক পরিবর্তন করলে ফলাফল পেতাম।’
ঢাকাবাসীকে একটু ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানিয়ে দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘আমরা কৌশল পরিবর্তন করেছি। এখন আমরা যে কার্যক্রম নিচ্ছি, আমাদের সকালের কার্যক্রম চার ঘণ্টায় চলছে, বিকেলের কার্যক্রম আমরা আরও বৃদ্ধি করেছি। সুতরাং আমরা আশাবাদী, আগামী দুই সপ্তাহ পর হতে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে ডেঙ্গুর জন্য আমাদের কৌশল পরিবর্তন করে আবার এপ্রিল থেকে আমরা কার্যক্রম আরম্ভ করব।’
গত জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া খাল ও বক্স কালভার্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন বর্জ্য-পলি অপসারণ করা হয়েছে বলে জানান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার থেকে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জিরানী খালের নন্দীপাড়া ব্রিজ অংশ, খিলগাঁও-বাসাবো, মান্ডা খাল, জিরানী খাল ও সেগুনবাগিচা খালের সংযোগস্থলের সুখনগর খাল, টিটিপাড়া পাম্প স্টেশন, শ্যামপুরের বউবাজার, সালাউদ্দিন স্কুল, জিয়া সরণি, কাজলার পাড় এলাকায় চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৪ আসনের সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুন্সি মো. আবুল হাশেম, কাজী মো. বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।