ঢাকার মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারের একাধিক সংস্থা এবং ভবন মালিকের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা। তবু তদন্ত এগোচ্ছে না।
তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বলছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয়টি তদন্ত কমিটির মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সিটিটিসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। তিতাস, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, পেট্রোবাংলা এবং এনার্জি রেগুলেটরির কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এক মাস আগে সব সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সিটিটিসি জানায়, তাদের তদন্তে উঠে এসেছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল। ৬০ বছরের একটি পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে নীতিমালা না মেনে জীর্ণ ভবনটিতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চিলার ও কুলার ব্যবহার করেছে বেঙ্গল মিট।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসির পরিদর্শক মোদাচ্ছের কায়সার প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জবাব না পাওয়ায় তদন্ত থমকে আছে। সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন পেলে এগুলো পর্যালোচনা করে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করা হবে।
এ বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিটিটিসি আমাদের কোনো চিঠি দেয়নি। চিঠি না দিলে প্রতিবেদন পাঠানোর কোনো কারণ নেই।’
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ্ এবং পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) আলী মো. আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের পাওয়া যায়নি। বিষয়বস্তু লিখে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠালেও তাঁরা সাড়া দেননি।
গত ২৭ জুন মগবাজারের ওই বাড়ির নিচতলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জনের মৃত্যু হয়।