বাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪

নারায়ণগঞ্জ শহরের ১ নম্বর রেলগেটসংলগ্ন রেলক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আনন্দ পরিবহনের বাসকে ধাক্কা দেয় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন। এতে অন্তত দুজন নিহত ও কয়েকজন আহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালান। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায়ছবি: দিনার মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জ নগরের ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় রেলক্রসিংয়ে বাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪। গতকাল রোববার দুর্ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হওয়ার পর আজ সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেজবাহ উদ্দিন (৬৫) নামের একজন মারা যান। আর গতকাল রোববার রাতে সাব্বির নামের এক শিশু মারা যায়।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় যানজটে আটকে থাকা বাসে একটি ট্রেন এসে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি ২০ থেকে ২৫ গজ দূরে ছিটকে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়েছেন।

আহত অবস্থায় মেজবাহ উদ্দিনকে গতকাল রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকাল সাতটায় তিনি মারা যান।

নিহত ব্যক্তির শ্যালক রফিকুল ইসলাম জানান, মেজবাহ উদ্দিন বন্দর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ফতুল্লার পঞ্চবটিতে একটি কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে তিনি ওই দুর্ঘটনায় পড়েন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরের ঝাউতলা ক্রসিংয়ে ডেমু ট্রেনের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মিনিবাসের সংঘর্ষে তিনজন মারা যান। আহত হন আরও ছয়জন। রেলের হিসাবে, ২০১৪ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত ৬ বছরে রেলে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৭৫ জন। এর মধ্যে ১৪৫ জনই প্রাণ হারিয়েছেন রেলক্রসিংয়ে। গত বছর মারা গেছেন ৩৪ জন। এর মধ্যে ৩৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে রেলক্রসিংয়ে। অবশ্য এ হিসাবে, রেললাইনে কাটা পড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।