বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত শিক্ষাবিদ নিলুফার মঞ্জুর
ঢাকার বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শিক্ষাবিদ নিলুফার মঞ্জুর। দাফনকালে পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন তাঁর ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে নিলুফার মঞ্জুর মঙ্গলবার ভোররাতের দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
বেসরকারি সংস্থা আল-মারকাজুল ইসলামি জানাজা ও দাফনকাজে সহায়তা করে। সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামজা শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনে বনানী কবরস্থানে জানাজা শেষে নিলুফার মঞ্জুরের মরদেহ দাফন করা হয়। এ সময় তাঁর ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর উপস্থিত ছিলেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে নিলুফার মঞ্জুরের দাফনকাজ শেষ হয়।’
করোনায় সংক্রমিত হয়ে কেউ মারা গেলে তাঁর জানাজা ও দাফনে মানুষের উপস্থিতি সীমিত রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ নিলুফার মঞ্জুর ১৯৭৪ সালে ইংরেজি মাধ্যমের সানবিমস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সানবিমসের কার্যক্রমের নেতৃত্বে ছিলেন।
নিলুফার মঞ্জুর স্বামী সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, কন্যা মুনিজে মঞ্জুর, পুত্রবধূ সামিয়া হক, ছয় নাতি-নাতনি, বোন ইয়াসমিন হক, ভাই জামশেদ চৌধুরী, অসংখ্য বন্ধুবান্ধব ও অগণিত গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর বাবা ড. মফিজ আলী চৌধুরী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালের মন্ত্রিসভার সদস্য।
নিলুফার মঞ্জুরের স্বামী সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা। নিজের প্রতিষ্ঠিত অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। মঞ্জুর এলাহী ও নিলুফার মঞ্জুরের ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ব্যবসায়ীদের প্রভাবশালী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি। মেয়ে মুনিজে মঞ্জুর অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের পরিচালক।
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের মহাব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। তবে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের তেমন কোনো লক্ষণ নেই। তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নিলুফার মঞ্জুরকে নিউমোনিয়ার লক্ষণসহ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষার পর তাঁর করোনা ধরা পড়ে। এরপর পরিবারের সবাইকে পরীক্ষা করা হয়। মঞ্জুর এলাহী ছাড়া আর কারও করোনা ধরা পড়েনি।