ফারহান-৬ লঞ্চের চালকদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ

বুড়িগঙ্গার ধর্মগঞ্জে লঞ্চের সঙ্গে ট্রলারের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার, ড্রাইভার ও সংশ্লিষ্ট ট্রলারের সুকানিকে (চালক) আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন নৌ আদালত।

আজ বুধবার বিকেলে নৌযান দুটির বিরুদ্ধে নৌ আদালতে মামলা করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান। নৌ আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম মামলা আমলে নিয়ে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার মো. কামরুল হাসান, ইঞ্জিন পরিচালক (ড্রাইভার) মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও ট্রলারচালক (সুকানি) মো. জসিম মোল্লাকে ৩১ জানুয়ারি আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

মামলা হওয়ায় আইনানুযায়ী, নৌযান দুটির নিবন্ধন-ফিটনেস সনদ ও চালকদের সনদ স্থগিত করবে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। মামলায় সাজা হলে এসব সনদ বাতিলও করতে পারেন বিচারক। নৌ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বেল্লাল হোসাইন মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার প্রাথমিক অভিযোগে বলা হয়েছে, ৪ জানুয়ারি বিকেলে এমভি ফারহান-৬ যাত্রীবাহী লঞ্চ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া ঘাট থেকে প্রায় ২০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে এটির একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ঘন কুয়াশার মধ্যে এক ইঞ্জিন চালু রেখেই লঞ্চটি ঢাকার দিকে আসতে থাকে। ৫ জানুয়ারি সকালে ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গার মোহনা পার হওয়ার সময় ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় একটি যাত্রীবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় লঞ্চটির। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় ৯ যাত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এমভি ফারহান-৬ লঞ্চে দায়িত্ব পালনকালীন মাস্টার, ড্রাইভার ও ট্রলারটির চালক সংঘর্ষ এড়ানোর বিধান অনুসরণ না করায় এবং তাঁদের অদক্ষতা ও অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নৌপরিবহন অধিদপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর যাত্রীদের মৃত্যুর দায়জনিত সম্পূরক মামলা করা হবে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর ঢাকার কালীগঞ্জ এলাকার নিজস্ব ডকইয়ার্ড থেকে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চ জব্দ করে নৌ পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে লঞ্চের মাস্টার, ড্রাইভার ও ট্রলারের চালককে। এমভি ফারহান-৬ লঞ্চটির মালিক বরিশাল-৩ আসনের সাংসদ গোলাম কিবরিয়া।