প্রতিবাদ করলেই গ্রেপ্তার কেন: প্রশ্ন ১৯ নাগরিকের
কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলনের নেতৃত্বদাতা সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলেকে ধরে নিয়ে থানায় আটকে রাখার কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁরা বলেছেন, এভাবে মতপ্রকাশে বাধা দেশকে স্থবির করে দিচ্ছে।
তেঁতুলতলা মাঠ শিশু-কিশোরদের খেলার জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা। আজ সোমবার এই বিবৃতিদাতারা হলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, সৈয়দ হাসান ইমাম, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, সারওয়ার আলী, আবেদ খান, সেলিনা হোসেন, আবদুস সেলিম, লায়লা হাসান, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, শফি আহমেদ, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সারা যাকের, শিমূল ইউসুফ ও হারুণ হাবীব।
তাঁদের বিবৃতিতে বলা হয়, জনমতের চাপে ২৫ এপ্রিল মধ্যরাতে মা-ছেলেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, কেন কোনো ধরনের প্রতিবাদ করলে সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রতিবাদকারীকে এ দেশে গ্রেপ্তার হতে হয়। এভাবে মতপ্রকাশে বাধা দেশকে স্থবির করে দিচ্ছে।
সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলের কাছ থেকে যে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, ‘পুলিশ সৈয়দা রত্না ও তাঁর কিশোর ছেলেকে খেলার মাঠ দাবি আদায়ের আন্দোলন থেকে সরে আসবে, এ রকম মুচলেকায় ন্যক্কারজনকভাবে স্বাক্ষর নিয়ে তাঁদের মুক্তি দিয়েছে বলে আমরা গণমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছি। আমরা এই হীন মুচলেকার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও একই সঙ্গে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। আমরা কলাবাগান তেঁতুলতলা খেলার মাঠ হিসেবেই দেখতে চাই। কলাবাগান থানা ভবনের জন্য অন্য কোনো জায়গা খুঁজে ভবন নির্মাণের পরামর্শ দিচ্ছি।’
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পুলিশ প্রসাশনকে কলাবাগান থানা ভবনের জন্য অন্য কোথাও স্থান নির্ধারণের যে পরামর্শ দিয়েছেন, তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা।
ঢাকাসহ দেশের সব শহরে শিশু-কিশোরদের পরিপূর্ণ বিকাশের উপযুক্ত মাঠ ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত স্থানের অপ্রতুলতার কথা সরকার ও প্রশাসনকে স্মরণ করিয়ে তাঁরা এ সমস্যার আশু সমাধানের দাবি জানান।