পেটেন্ট মালিকের স্বত্ব ২০ বছরের জন্য সংরক্ষিত রাখার বিধান রেখে বাংলাদেশ পেটেন্ট বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। ফলে এই আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে পেটেন্টধারী ব্যক্তি ২০ বছরের জন্য স্বত্বের মালিক থাকবেন। ২০ বছর পর তা ‘জনগণের’ সম্পদ হয়ে যাবে। আগের আইনে পেটেন্টের মেয়াদ ছিল ১৬ বছর।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট বিল-২০২১’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেওয়া জনমত যাচাই–বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন।
১৯১১ সালের পেটেন্ট ও ডিজাইন আইনকে দুই ভাগ করে পেটেন্ট আইন ও ডিজাইন আইন নামে আলাদা দুটি আইন করছে সরকার। পেটেন্ট আইনে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিগত যেকোনো পণ্য বা প্রক্রিয়ার উদ্ভাবনই পেটেন্টযোগ্য হবে, যদি তাতে নতুনত্ব ও উদ্ভাবনী ধাপ বিদ্যমান থাকে এবং শিল্পে প্রয়োগযোগ্য হয়।
বিলে বলা হয়, আবিষ্কার, বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও গাণিতিক পদ্ধতি, ব্যবসার পদ্ধতি, সম্পূর্ণভাবে মানসিক কাজ সম্পাদনের বা খেলাধুলার নিয়মাবলি বা পদ্ধতি এবং এমন কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রাম পেটেন্ট সুরক্ষার আওতার বাইরে থাকবে। পাশাপাশি আরও কোন কোন বিষয়গুলো পেটেন্ট বহির্ভূত থাকবে, সেগুলোও আইনে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের কোনো আদেশ পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে আদালত ক্ষতিপূরণ ধার্য করতে পারবেন। এই আইনের অধীন সংরক্ষিত কোনো নিবন্ধন বইয়ে মিথ্যা ভুক্তি তৈরি করলে বা করালে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বাংলাদেশে কোনো পণ্যের পেটেন্ট না থাকার পরও কেউ যদি দাবি করেন যে তিনি ওই পেটেন্টধারী, অথবা পেটেন্টের আবেদন করেছেন, তা হলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পেটেন্ট বাতিল এবং অধিকার কার্যকর করার বিধানও রাখা হয়েছে বিলে।