২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

পল্লবীতে খুনের আসামিদের একজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত: র‍্যাব  

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মিরপুরে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। র‍্যাবের দাবি,  মানিক নামে ওই ব্যক্তি পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি।  

র‍্যাব বলছে, যে দুজন মূলত কুপিয়ে হত্যা করেছিল তাদেরই একজন মানিক। এই মামলায় গতকালই সাবেক সাংসদ আউয়ালকে (৫০) গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব-৪-এর পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক জানান, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মিরপুরের পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী দলের অবস্থান জানতে পেরে র‍্যাবের টহল দল ওই এলাকায় যায়।  তখন তারা অতর্কিত গুলি চালায়। র‍্যাবও গুলি ছোড়ে। ১০ মিনিটের মতো গোলাগুলি হয়। সেখান থেকে অন্যরা পালিয়ে গেলেও, একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পুলিশ এসে নিহত মানিককে পল্লবীর হত্যা মামলার আসামি হিসেবে শনাক্ত করে। মানিকের লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।

র‍্যাব বলছে, ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে যে দুজন পালিয়ে গেছেন তাঁদের শনাক্ত করা যায়নি।

গত রোববার বিকেলে রাজধানীর পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর রোডে খুন হয়েছিলেন সাহিনুদ্দিন (৩৩)। তাঁর বাসা পল্লবীর বুড়িরটেক।সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুই তরুণ দুই পাশ থেকে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটে পড়েন। এরপর হামলাকারী একজন চলে যান। অপরজন ওই ব্যক্তির ঘাড়ে কোপাতে থাকেন মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত।

আরও পড়ুন

৩১ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে যে দুজন হামলাকারীকে দেখা গেছে, তাঁদের শনাক্ত করেছে র‍্যাব। এঁদেরই একজন মানিক ও আরেকজন মনির। র‍্যাব বলছে, এ খুনের মূল পরিকল্পনাকারী লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়াল। তাঁর নির্দেশে স্থানীয় সন্ত্রাসী মনির, মানিক, সুমন ব্যাপারী, হাসানসহ অন্যরা ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে রামদা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করেন। এরপর সুমন মুঠোফোনে সাবেক সাংসদ আউয়ালকে জানান, ‘স্যার, ফিনিশ’।

মুঠোফোনের কল রেকর্ড পরীক্ষা করে র‍্যাব ইতিমধ্যেই বুধবার গভীর রাতে নরসিংদীর ভৈরবে অভিযান চালিয়ে সাবেক সাংসদ আউয়ালকে (৫০) গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এর আগের রাতে চাঁদপুরের হাইমচর থেকে হাসান (১৯) ও পটুয়াখালীর বাউফল থেকে জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে (২৭) গ্রেপ্তার করে। সুমন ব্যাপারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এ নিয়ে ওই হত্যায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব বলছে, পল্লবী এলাকায় আউয়ালের আবাসন ও জমির ব্যবসা রয়েছে। সাহিনুদ্দিনের জমি দখল নিতে না পেরে তাঁকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করা হয়।

এম এ আউয়াল তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব থাকাকালে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকে সাংসদ হন। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাঁকে তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দিলে তিনি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি এর চেয়ারম্যান।