পলাশীতে এক নেতার ফোনে বন্ধ হলো ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি
রাজধানীর বুয়েট মার্কেটের (পলাশী বাজার) এক জুস ব্যবসায়ীর কাছে পবিত্র ঈদুল আজহার ‘খরচ’ হিসেবে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (এসএম হল) শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। তবে তাঁরা টাকা পাননি। ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতার হস্তক্ষেপে ওই ব্যবসায়ী টাকা দেওয়া থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছেন।
গতকাল সোমবার (৪ জুলাই) রাত ১০টার দিকে এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকারের পক্ষ থেকে তিনজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী পলাশী বাজারের ওই জুসের দোকানে চাঁদা আনতে যান। তাঁরা জুস ব্যবসায়ী মো. ইকবালকে হুমকি-ধমকি দেন। তবে পরে তাঁরা টাকা না নিয়েই ফিরে যান।
পলাশী বাজারের একাধিক দোকানি জানান, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গতকাল রাতে ওই জুসের দোকানে গিয়ে ইকবালকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ এ পরিস্থিতি চলার পর এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ছাত্রলীগের একজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই শীর্ষ নেতা এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের ফোন করে পলাশী বাজার থেকে চলে আসতে বলেন। তখন তাঁরা চলে যান।
জুস ব্যবসায়ী মো. ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঈদ উপলক্ষে আমার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেছেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে তাঁরা বলেন, ৮০ হাজার টাকা দিলেই হবে। গতকাল রাতে তাঁরা টাকা নিতে তিনজন লোক পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু আমি টাকা দিইনি।’
তবে চাঁদা দাবির অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর সিকদার৷ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কারও কাছে কোনো টাকা দাবি করিনি। পলাশী বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে নানা গ্রুপ-উপগ্রুপ আছে। সেখানে কী হয়েছে, তা আমরা জানি না৷ আমাদের হলের পাশে একটি জুসের দোকান আছে। আমাদের হলের ছাত্ররা জুস খেলে সেখান থেকেই খান।’