পরীমনির মামলায় নাসিরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৯ এপ্রিল
ঢাকা বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমনির মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রানা আচার্য।
এ ব্যাপারে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত প্রথম আলোকে বলেন, পরীমনির করা এই মামলায় জামিনে আছেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী, তবে পলাতক রয়েছেন আসামি শাহ শহিদুল আলম। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় আগামী ১৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন ঠিক করেন আদালত।
ঢাকা বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলায় গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তাঁর সহযোগী শাহ শহিদুল আলম ও তুহিন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
পরীমনি তাঁর মামলায় অভিযোগ করেন, গত বছরের ৮ জুন রাতে তাঁকে কৌশলে সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান তাঁর পূর্বপরিচিত তুহিন। সেখানে জোর করে তাঁকে মদ পান করানোর চেষ্টা করেন নাসির। একপর্যায়ে তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।
ঘটনার পাঁচ দিন পর ১৩ জুন নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে প্রথম এ-সংক্রান্ত অভিযোগ প্রকাশ্যে জানান পরীমনি। সেদিন রাতে বনানীর বাসায় সাংবাদিকদের ডেকে ঢাকা বোট ক্লাবে কী ঘটেছিল, তার বর্ণনা দেন তিনি।
পরদিন ১৪ জুন সাভার থানায় পরীমনি বাদী হয়ে ব্যবসায়ী নাসির, তুহিনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার আড়াই মাস পর গত বছরের ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে তাঁকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় তিন দফায় মোট সাত দিন তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গ্রেপ্তারের ২৭ দিন পর ১ সেপ্টেম্বর পরীমনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মাদক মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০। তবে পরীমনির বিরুদ্ধে করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার পরবর্তী কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ১ মার্চ রুলসহ আদেশ দেন।
মামলাটি বাতিল চেয়ে পরীমনি আবেদন করেছিলেন। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।