নারীবান্ধব ঢাকা শহর গড়ে তুলব: আতিকুল
‘নারীরা যেন নির্বিঘ্নে ঢাকা শহরে চলাফেরা করতে পারে, সে ব্যবস্থা করব। নারীবান্ধব ঢাকা শহর গড়ে তুলব।’
কথাগুলো বলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সকালে সরকারি তিতুমীর কলেজের সামনে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক মানববন্ধনে আতিকুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকার যেসব জায়গায় সড়ক অন্ধকার আছে, সেগুলোকে আলোকিত করব, যাতে অন্ধকারে একটি সেফটিপিন পড়লেও দেখা যায়। আলোকিত নগর গড়া আমার ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত আছে। এ ছাড়া পুরো উত্তর সিটিকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।’
সাবেক মেয়র আতিকুল বলেন, ‘যে বা যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করেছে, তাদের অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে কেউ এ ধরনের কাজ করার চিন্তাও না করতে পারে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের নিন্দা জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মা-বোন যদি ধর্ষণের শিকার হন, তা আমরা কেউ মানতে পারি না। আর এখন আমরা মাকে ভালোবাসতে ভুলে গেছি। নারী সমাজকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে না পারলে জাতি এগোবে না।’
প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নুসরাত হত্যার বিচার করেছেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে, তেমনি এ ঘটনায় অপরাধীকে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান এ মেয়র প্রার্থী।
মানববন্ধনে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে আজ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে এবং ব্যক্তিগত জায়গা থেকে এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি এবং বিচার দাবি করছি।’ তিনি ধর্ষণের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ আবেদা সুলতানা বলেন, বিগত কিছুদিন ধরে আমরা সবাই লক্ষ করেছি একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন তিনি।
তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা সরকার বলেন, নারীরা আজ কোথাও নিরাপদ নয়। শিক্ষার্থী ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তিতুমীর কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ জিয়া বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। ক্ষমতাবানেরা ধর্ষণে যুক্ত, উল্লেখ করে ধর্ষকের সরাসরি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। আর বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা দূর করার আহ্বান জানান তিনি।
তিতুমীর কলেজের সামনে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান কামরুন্নাহার মায়া, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা জয়দেব নন্দীসহ তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। সরকারি তিতুমীর কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী এ মানববন্ধনে অংশ নেন।