কলেরার টিকা কারা নিতে পারবেন, কারা পারবেন না

প্রতীকী ছবি

ঢাকা শহরের পাঁচটি এলাকায় কলেরার টিকার প্রথম ডোজ খাওয়ানো শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে এক বছরের বেশি বয়সী সব মানুষকে এ টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা দেওয়া চলবে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত।

৫টি এলাকার ৭০০টি কেন্দ্রে কলেরার টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা দেওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ীতে ১০০টি, সবুজবাগে ১৭০, দক্ষিণখানে ১৫৭, মিরপুরে ৯৫ ও মোহাম্মদপুরে ১৭৮টি কেন্দ্র করা হয়েছে। এসব এলাকায় মোট ৩০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক উদরাময় কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এ তথ্য জানিয়েছে।

মুখে খাওয়ার এ টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। গর্ভবতী নারী ও যাঁরা গত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নিয়েছেন, তাঁরা এ টিকা নিতে পারবেন না। এ টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি। প্রথম ডোজের পর কলেরার এ টিকার দ্বিতীয় ডোজ ১৪ দিন পর খেতে হয়।

গতকাল আইসিডিডিআরবির সাসাকাওয়া মিলনায়তনে এ বিশেষ টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে এত বড় পরিসরে এই প্রথম এত বেশি মানুষকে কলেরার টিকা দেওয়া হচ্ছে।

কলেরার টিকা দেওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করার সময় আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ফিরদৌসী কাদরী বলেন, আইসিডিডিআরবির হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর ২০ শতাংশ কলেরা রোগী।

অন্যদিকে সারা দেশে ডায়রিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের ১০ শতাংশ কলেরায় আক্রান্ত হয়। এ বছর যত রোগী আইসিসিডিআরবির হাসপাতালে এসেছে, এমন সংখ্যা প্রতিষ্ঠানের ৬০ বছরের ইতিহাসে দেখা যায়নি। এ বছর যত রোগী এসেছে, তার ৫০ শতাংশ এসেছে রাজধানীর ৫টি এলাকা থেকে।