জায়ান ফিরেছে, সমাহিত হবে বনানীতে
শ্রীলঙ্কায় গত রোববারের ধারাবাহিক বোমা হামলার সময় নিহত বাংলাদেশি শিশু জায়ান চৌধুরীর লাশ আজ বুধবার দুপুরে ঢাকায় এসেছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিশুটির লাশ গ্রহণ করেন জায়ানের নানা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
আজ বেলা পৌনে একটায় শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের বিমানে জায়ানের মরদেহ দেশে আসে। এ সময়ে শেখ সেলিমের পরিবারের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বেলা সোয়া একটায় জায়ান চৌধুরীর মরদেহ বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বনানী ২ নম্বর সড়কে শেখ সেলিমের বাড়িতে নেওয়া হয়। রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেই বাড়িতে জায়ানকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেছেন।
আজ বাদ আসর চেয়ারম্যানবাড়ি মাঠে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে জায়ানকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিকভাবে জানানো হয়েছে।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই। জায়ানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা আড়াইটার পর প্রধানমন্ত্রী এই বাড়িতে আসবেন বলে জানানো হয়েছে।
নিহত জায়ান চৌধুরী শেখ সেলিমের মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়ার ছেলে। রোববারের ইস্টার সানডের প্রার্থনার মধ্যে শ্রীলঙ্কার তিন গির্জা ও তিন হোটেল মিলিয়ে আটটি স্থানে বোমা হামলা হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যে তিন হোটেলে বিস্ফোরণ ঘটে, সেদিন এর মধ্যে একটি হোটেলে উঠেছিল জায়ানদের পরিবার। রোববার বাবার সঙ্গে হোটেলটিতে নাশতা করার সময় বোমা বিস্ফোরণে মারা যায় জায়ান। বিস্ফোরণে জায়ানের বাবা মশিউল হক চৌধুরী আহত হয়েছেন। তিনি শ্রীলঙ্কার একটি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। ওই সময় হোটেল কক্ষে থাকায় বেঁচে যান শেখ সেলিমের মেয়ে শেখ সোনিয়া ও সোনিয়ার আরেক ছেলে জোহান।