জল, স্থল, আকাশে র্যাবের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীজুড়ে জল, স্থল ও আকাশপথে র্যাবের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তাচৌকিতে থাকবে চেহারা শনাক্তকরণ (অনসাইট আইডেনটিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম) ডিভাইস।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে সারা দেশে নিরাপত্তা দেবে র্যাব। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে চায় তাহলে তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে। জলে, স্থলে ও আকাশপথে কঠোর নিরাপত্তার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি করা হবে। রাজধানীজুড়ে থাকবে র্যাবের টহল দল। র্যাবের বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ দল নিয়োজিত থাকবে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হবে।
র্যাবের বিভিন্ন নিরাপত্তাচৌকিতে বসানো হবে অনসাইট আইডেনটিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম ডিভাইস। এতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের চেহারা, নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা যাবে।
র্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে পোশাকে ও সাদা পোশাকে অবস্থান করবে র্যাবের গোয়েন্দারা। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যুতে র্যাবের বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ দল, স্পেশাল ফোর্সেস নজরদারি করবে।
অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হুমকি আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘কোনো ধরনের হুমকি নেই। এ ছাড়া কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও নেই। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটলে তা মোকাবিলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
কয়েকটি সংগঠন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তারা এ ধরনের কর্মসূচি পালন করবে না। তারপরও যদি তারা এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত না থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’