জন্মনিবন্ধনের সাধারণ ভুল সংশোধনেও হয়রানি হচ্ছে: তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম
ফাইল ছবি

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সাধারণ ভুল সংশোধন করতেও লোকজনকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধন ইদানীং খুব ‘বার্নিং ইস্যু’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ একটা ভুলের জন্য মানুষকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে হয়রানি হতে হচ্ছে।

আজ রোববার অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। রাজধানীর স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশে দূতাবাসগুলো থেকে অনেক অভিযোগ আসে। নানা জটিলতার কারণে নিবন্ধন-সংক্রান্ত সেবা লোকজন পাচ্ছে না। এভাবে চলতে পারে না। যেসব কারণে হয়রানি হচ্ছে, তা খুঁজে বের করে দ্রুত সমাধান করতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানি অথবা দীর্ঘসূত্রতার শিকার না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে সংশ্লিষ্ট কেউ নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা নিলে কিংবা টাকার জন্য হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। বলেন, জন্মনিবন্ধন প্রাপ্তিতে যেকোনো স্তরে জনগণকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এ ধরনের কাজে যুক্ত থাকে, প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, জন্মনিবন্ধন হলো একজন মানুষের মূল ভিত্তি। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থাকে সহজ করার কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যরা জন্ম তারিখ, পিতা-মাতার নামসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। ইউপি চেয়ারম্যানরা মাসিক সভায় এ-সংক্রান্ত বিশদ আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন।

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের সার্ভার জটিলতা প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, সার্ভার নতুনভাবে ইনস্টল (স্থাপন) করার কারণে কিছুদিন সিস্টেম শাটডাউন (ব্যবস্থা অকার্যকর) ছিল। এখন চালু হয়েছে। সার্ভারে যদি সমস্যা থাকে তাহলে দ্রুত সমাধান করতে হবে।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল ইসলাম, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের মহাপরিচালক পলাশ কান্তি বালা এবং দেশের সব সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।