গান-আলোচনায় গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, সত্য সাহা ও রবীন ঘোষকে স্মরণ
কে জি মোস্তফার লেখা ফরিদা ইয়াসমিনের গাওয়া একটি গান টেলিভিশনে দেখানোর কথা। বাড়িতে তখন টিভি সেট না থাকায় টেলিভিশন আছে, এ রকম একটি বাড়ির দরজায় কড়া নাড়লেন কে জি মোস্তফা। বাড়ির কর্তাকে জানালেন বিষয়টি। সব শুনে তাঁকে বসতে দিলেন বাড়ির কর্তা। তিনি ছিলেন নায়ক আজিম। এরপর কে জি মোস্তফাকে সুরকার রবীন ঘোষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। সেই থেকে কে জি মোস্তফা ও রবীন ঘোষ জুটি বাঁধলেন। করলেন বহু গান।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ গল্প শোনালেন কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম। বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী, সুরকার ও সংগীতজ্ঞদের স্মরণ শীর্ষক অনুষ্ঠান ‘স্মৃতিসত্তা ভবিষ্যৎ’–এ তিনি ছিলেন অন্যতম আলোচক। সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নৃত্যশালা মিলনায়তনে আলোচনা করা হয় গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, সত্য সাহা ও রবীন ঘোষকে নিয়ে।
সত্য সাহাকে স্মরণ করে কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের বাংলা গানের সুরে, সুর সৃষ্টিতে ও কাজে যাঁরা আধুনিকতা এনেছেন, সত্যদা তাঁদের একজন। লন্ডন থেকে ইউনিভক্স নামের এক দুষ্প্রাপ্য সুরযন্ত্র আনিয়েছিলেন সেই সময়ে। এটি কিবোর্ডের প্রাথমিক সংস্করণ। তাতে ইলেকট্রনিক টোন বাজানো যেত। গানে বৈচিত্র্য আনার জন্য ফিল্মের অনেক গানে তিনি এই যন্ত্র ব্যবহার করেছিলেন।’
গানের এই মানুষদের নিয়ে আলোচনার এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে রফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলা গান কত দূর বিস্তৃত হয়েছে, এ নিয়ে আজকাল আলোচনা হয় না। আলোচনা হয় এখনকার ছেলেমেয়েদের গান ভালো হয় না তা নিয়ে।’
এ সময় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুনিরুল আলম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, সত্য সাহা ও রবীন ঘোষের গান গেয়ে শোনান দিনাত জাহান মুন্নি ও সম্রাট।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলোচনা করা হবে কামাল লোহানী, আবদুল লতিফ ও অজিত রায়কে নিয়ে।