ক্যাসিনোতে অভিযানকালে পুলিশের সহায়তায় পালান নেপালিরা
রাজধানীতে যেসব ক্যাসিনো চলত, সেগুলো চালাতেন নেপালের নাগরিকেরা। প্রায় ১০০ জন নেপালি এ কাজ করতেন। তাঁদের বেশির ভাগই রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি বাসায় থাকতেন। গত বুধবার ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাঁদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ শনিবার র্যাব সদস্যরা জব্দ করেন। র্যাব সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয় গত বুধবার। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে ওই দিন মতিঝিলের ইয়ংমেনস, ওয়ান্ডারার্স, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র ও বনানীর গোল্ডেন ঢাকা ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। ওই দিন এসব ক্লাব সিলগালা করে দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, ক্যাসিনো চালানোর সঙ্গে জড়িত নেপালিরা সেগুনবাগিচার সামিট হাসান লজ নামের একটি বাসার ফ্ল্যাটে ছিলেন। গত বুধবার ক্যাসিনো অভিযানের সময় রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে ওই বাসায় একজন সাব-ইন্সপেক্টরসহ তিনজন পুলিশ সদস্য যান। তাঁরা ওই ফ্ল্যাটে ৫০ মিনিট অবস্থান করে বেরিয়ে যান। এর পরপরই ১৫ নেপালি খালি হাতে ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান।
ওই বাসার দুই নিরাপত্তাকর্মী মামুন ও উজ্জ্বল প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ সদস্যরা তাঁদের পরিচয় দিয়ে নেপালিদের ফ্ল্যাটে যেতে চেয়েছিলেন। এ সময় তাঁরা পুলিশের সঙ্গে সেখানে গেলেও পুলিশ সদস্যরা তাঁদের ফ্ল্যাটের ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে চলে যেতে বলেন। ভবনে সিসিটিভি ক্যামেরায় এর ফুটেজ আছে।
ক্যাসিনোর মালিক যখন সাংবাদিক
প্রীতম-জামান টাওয়ারের ক্যাসিনো ব্যবসায় টিভি সাংবাদিক মাহবুব আলমের সম্পৃক্ততা ছিল বলে অভিযোগ আছে। এ নিয়ে পল্টন মডেল থানার ওসি মাহমুদুল হক মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনারকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি।
ওই প্রতিবেদনে পল্টন থানার ওসি লেখেন, প্রীতম-জামান টাওয়ারের ১৪ ও ১৫ তলায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেলোয়ার হোসেন ও মো. মাহবুব আলম জুয়া খেলা পরিচালনা করছেন। ক্রিস্টাল-১৮৬ ডটকম নামের অনলাইন গেমসের অনুমোদন নিয়ে তাঁরা জুয়ার আসর বসিয়েছেন।
এই ক্যাসিনোতে ২০১৮ সালের মার্চে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালায়। নাম না প্রকাশ করার শর্তে অভিযানে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা বলেন, ক্যাসিনোতে অভিযান চালাতে গিয়ে তাঁদের যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ক্যাডার বাহিনীর মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিক মাহবুব আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: