কোন খাল কে দখল করেছে

হাজারীবাগ খাল  দুই পাড়ের বসতবাড়ির আবর্জনা ও পয়োবর্জ্য এসে মিশছে খালের পানিতে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ
হাজারীবাগ খাল দুই পাড়ের বসতবাড়ির আবর্জনা ও পয়োবর্জ্য এসে মিশছে খালের পানিতে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ
সরকারের উদাসীনতা এবং প্রভাবশালীদের দখলে হারিয়ে গেছে ঢাকার অধিকাংশ খাল। যে কটি টিকে আছে সেগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ নেই। নদীর সঙ্গে সংযোগও প্রায় কাটা পড়ছে। জলাবদ্ধ হয়ে পরিণতি ভোগ করছে ঢাকার পৌনে দুই কোটি মানুষ। ঢাকাকে বাঁচাতে খাল উদ্ধারে নামতে হবে সরকারকে। প্রথম আলোর বিশেষ আয়োজনের দ্বিতীয় কিস্তি প্রকাশিত হলো আজ

সরকারি খাল অবৈধ দখলমুক্ত করতে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকার জেলা প্রশাসন। এরপর সরেজমিন জরিপ করে ঢাকা জেলা প্রশাসন ঢাকার কোন খালের কোন অংশ কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি দখল করেছে তার তালিকা তৈরি করেছে।

রূপনগর খাল  খালটির বড় একটি অংশ ভরাট করে বানানো হয়েছে রাস্তা
রূপনগর খাল খালটির বড় একটি অংশ ভরাট করে বানানো হয়েছে রাস্তা

গত জানুয়ারিতে তালিকার অনুলিপি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়। তালিকায় দেখা যায়, একই প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি একাধিক খাল বা একই খালের একাধিক অংশ দখল করেছে। দখলদারদের তালিকা নিচে দেওয়া হলো  

দিয়াবাড়ী, বাউনিয়া ও আবদুল্লাহপুর: রাজউক।

রামচন্দ্রপুর: মোহাম্মদী, নবীনগর হাউজিং, জেমকন সিটি ও রাজধানী উদ্যান।

নন্দীপাড়া-ত্রিমোহিনী: ঢাকা জেলা পরিষদ, স্থানীয় জাতীয় পার্টি, জেলা পরিষদ মার্কেট মসজিদের সচিব, নবীয়াবাদ মসজিদ কমিটির সচিব, নন্দীপাড়া যুব সংঘ, নন্দীপাড়া ক্রীড়া সংসদ, নন্দীপাড়া মল্লিকা ক্লাব, নন্দীপাড়া খালপাড়া পাঞ্জেখানা মসজিদ, মো. আলম, হাবিব উল্লাহ, জাকির হোসেন, নোমান, পলাশ, বিল্লাল, হাবিবুর, মজিবুর, বাবু, ইদ্রিস আলী, ছালেহ আহম্মেদ, মালেক ভান্ডারী, ইয়াদ আলী, কবির উদ্দিন, হাফিজুর, ইউনূস মোল্লা, সুজাত ভাণ্ডারী, হানিফ, হাসেম মেম্বার, শাহ আলম, টগর, খোকা, মাইন উদ্দিন, বাচ্চু, আবুল হোসেন, মো. টগর, মো. সাইদ, বাদশা,  আকরাম, জাকির হোসেন, আমেনা, আলী আকবর, হুমায়ুন কবীর, ফায়েজুল হক, রহমান আলী, মনির হোসেন, খুরশেদ আলম, আবুল বারেক, আতাউর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুস সালাম, মাইদুল, হাফেজ হাওলাদার, আবুল কাসেম, মুসলেম, আবুল কাসেম, আবুল হাসেম হাছান, রইছ মিয়া, জমির আলী, কাদির, কবির, বিল্লাল হোসেন, বিল্লাল, রিপন, আজিজ, নজরুল ইসলাম, মতি তালুকদার, মোহাম্মদ আলী, শাহাদাৎ হোসেন, হারেছ, শাহজাহান, সিদ্দিক মোল্লা, সফিকুল, আবু বকর, আবু সাঈদ, মোক্তার হোসেন, কুদ্দুস, মফিজুল, নাছির, মিছির আলী, আবদুল হক, মীর জাহাঙ্গীর হোসেন, মোশারফ, মোফাজুল হোসেন, নাছির রাসেল, আলেয়া বেগম, মহসিন, সাগর, মেজু, কাজল, গিয়াস উদ্দিন, এয়াকুব, জোহর আলী, চান মিয়া, আনোয়ার, আইয়ুব খান, ওমর আলী, ঝর্না বেগম, শাহজাহান, বসির মিয়া, কাসেম, মাইন উদ্দিন ও ছিদ্দিক।

কুতুবখালী খাল  এক পাশে রাস্তা বানানো হয়েছে, অন্য পাশ দোকানের নিচে
কুতুবখালী খাল এক পাশে রাস্তা বানানো হয়েছে, অন্য পাশ দোকানের নিচে

কামরাঙ্গীরচর: পান্নাবেটারীর মালিক লোকমান মিয়া বেশির ভাগ জায়গা দখল করেছেন। বাকিরা হলেন কামাল উদ্দিন, মোসলেম উদ্দিন, ইসমাইল, কামাল মেম্বার ও তাইজ উদ্দিন।

কালুনগর: রফিক রানা, হাজী মিলন, রুহুল আমিন, মো. জোয়াদ্দার, নুরু মিয়া, রোকন, আবুল মিয়া, সবুজ মিয়া, আবদুল খালেক, আবুল বাসার, তাসলিমা খাতুন, শামীম হোসেন বাবুল, মাছুম, সেলিম মিয়া, পলি বেগম, আবদুল সামাদ, মজিবর রহমান, কে এম সিদ্দিক আলী, আলম সরকার, ইকবাল, আনোয়ার হোসেন, শরীফ, রনি মিয়া, স্বপন, জনি ও আলী হোসেন।

ভাটারা ও ডুমনী: বসুন্ধরা গ্রুপ। 

শুভাঢ্যা: শুভাঢ্যা জামে মসজিদ কমিটি, গোলাম বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি, মসজিদ মার্কেট কমিটি, বায়তুল হামদ জামে মসজিদ মার্কেট, আসাদ মিয়া, সেলিম, আলাউদ্দিন, আমীর, জলিল, জহির, সাহালম, হানিফ মিয়া, হায়দার আলী, আলেয়া বেগম, মোতালেব, সিহাব, ইদ্রিস ব্যাপারী, হাজী সেন্টু, জসীম উদ্দিন, মিন্টু, ইনু হাজী, তোফাজ্জল, ছোরহাব, চিনি বেগম, রমজান মেম্বার, অভি মিয়া, কানা রবি মিয়া, মোহাম্মদ আলী, সোহেল, আবদুস সাত্তার, মিজান, ইয়াদ আলী, জুম্মন মিয়া, আবদুস সালাম, নুরু মিয়া, লালবানু, আবুল বারিক, রাজু, আওলাদ মিয়া, আয়নাল, ফারুক, সেলিম, আসাদ মিয়া, আবদুর রাজ্জাক, হাজী নাজু মিয়া ও মজিদ।

বোয়ালিয়া: বসুন্ধরা ও বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি। 

নন্দীপাড়া খাল  বারোয়ারি আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে
নন্দীপাড়া খাল বারোয়ারি আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে


বোয়ারা: ইকুরিয়া পঞ্চায়েত কমিটির কার্যালয়, আওয়ামী লীগের ইকুরিয়া শাখার কার্যালয়, মীরেরবাগ বাজার আওয়ামী লীগ, মুসলিম নগর ইসলামী সমাজকল্যাণ সমিতি, মোশারফ হোসেন, হাবিব সেলুন, আলী জাফর স্টোর, কামাল মাংসের দোকান, রবি হোটেল, সোহারব, ফিরোজ, রিপন, নাসিমা মেম্বার, হরিদাস মালো, ইয়াসিন, নির্মল, মহাসিন, আহাম্মদ আলী, জালাল শেখ, আহাম্মদ হোসেন, মান্টু, আলী হোসেন, নুরু হোসেন, রহমত উল্লাহ, আবদুল সিদ্দিক রহমান, রজ্জব মোল্লা, সাহাতুল্লাহ, আনোয়ার, জাকির হোসেন, ইকুরিয়া বেলারী, নুরুল ইসলাম, মজিবুর, শুকুর মোল্লা,  জাহাঙ্গীর, নজরুল ইসলাম, মনির হোসেন, জরিপ, লুৎফর রহমান, মজিবর, সাইদুল ইসলাম, নুর ইসলাম মালাকার, মজিদ, আজিম, আবদুল কাইয়ুম, মহিউদ্দিন, মুকুল, সার্ভেয়ার রফিক উল্লাহ, ইমরান, শফিউল্লাহ, হাসেম, শহীদ সালাউদ্দীন আহম্মেদ ও নূর আলী।

ঘোপদক্ষিণ: এখন সেখানে লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস। এখন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নামে জমির রেকর্ড হয়ে আছে