কলাবাগানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর বাবা।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ২১ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফারহানা আহমেদ।
সাক্ষ্য গ্রহণের আগে মামলার আসামি ইফতেখার ওরফে দিহানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ইফতেখারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
গত বছরের ৭ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক তরুণ এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত ঝরছে।
কলাবাগান থানা–পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে দিহানকে আটক করে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে দিহানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় গত বছরের ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, দিহানের ‘পাশবিক নির্যাতনে’ কিশোরীর মৃত্যু হয়।
মামলার নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের নভেম্বরে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে কিশোরীর সঙ্গে দিহানের পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে মেসেঞ্জারে নিয়মিত কথা হতো। পরিচয়ের এক মাসের মাথায় গত বছরের ৬ জানুয়ারি দিহান মেসেঞ্জারে কিশোরীকে তাঁদের বাসায় যেতে প্ররোচিত করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ঘটনার দিন গৃহকর্মী বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে ফোন করে কিশোরীকে বাসার বাইরে আসতে বলেন দিহান। কিশোরী বের হওয়ার পর তাঁকে নিজেদের বাসায় নিয়ে যান দিহান।
মামলায় সাক্ষী হিসেবে ৫০ জনের বেশি ব্যক্তির জবানবন্দি ১৬১ ধারায় রেকর্ড করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ।