মুঠোফোনে প্রেম, দেখা করতে ঢাকায় এসে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার
রাজধানীর উত্তরায় প্রেমিককে বেঁধে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তরুণীর অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, জহিরুল ইসলাম নামের এক নির্মাণশ্রমিকের সঙ্গে মুঠোফোনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক তরুণীর (২৬) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৪ ডিসেম্বর ওই তরুণী উত্তরা পূর্ব থানার ৬ নম্বর সেক্টরে আসেন। ওই দিন রাতে জহিরুল তরুণীর সঙ্গে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে কথা বলছিলেন। এ সময় জহিরুলের পূর্বপরিচিত পাঁচজন তাঁদের জোর করে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান।
জহিরুলের হাত-পা বেঁধে তরুণীকে ধর্ষণ করেন তাঁরা। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হয়। পুলিশ জহিরুলের পাঁচ সহকর্মী সোহেল রানা, জয়নাল আবেদীন, মঈনুল হোসেন, সুমন আলী ও মাসুম আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) তাপস কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে গ্রামে ফিরে যান।
চিকিৎসার পর একটু সুস্থ হলে তিনি ঢাকায় এসে মামলা করেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণীকে ঢাকা মহানগর পুলিশের ‘ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে’ পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
দলবদ্ধ ধর্ষণের এ ঘটনায় জহিরুলের সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর ওই তরুণী এবং তাঁর প্রেমিক ভয় পেয়ে যান। ঘটনা কাউকে বললে তাঁদের মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এ কারণে তাঁরা প্রথমে কাউকে কিছু জানাননি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ধর্ষণের কথা ‘স্বীকার করেছেন’।