আদালতে জবানবন্দি শেষে কারাগারে দিহান
রাজধানীর কলাবাগানে ইংলিশ মিডিয়ামের ও–লেবেলের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার একমাত্র আসামি তানভীর ইফতেখার দিহান আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ শুক্রবার তিনি জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম।
এর আগে আজ দুপুরে তানভীরকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে কলাবাগান থানা-পুলিশ।
ডিএমপির অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক স্বপন কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, এই মামলায় গ্রেপ্তার আসামিকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আবেদন করে কলাবাগান থানা-পুলিশ। আসামি আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে কিশোরীর বন্ধুকে আসামি করে নিহতের বাবা কলাবাগান থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করেন। মামলায় তানভীরকে আসামি করা হয়।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এবং মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দুপুরে কলাবাগানে বন্ধুর (আসামি) বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই কিশোরীকে আনোয়ার খান মডার্ন কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিউমার্কেট অঞ্চলের পুলিশ বলেছে, গতকাল দুপুরে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক তরুণ এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন। কিশোরীর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তখন নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান ওই তরুণকে আটকে রাখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। এরই মধ্যে কলাবাগান থানার পুলিশ আনোয়ার খান হাসপাতালে গিয়ে ওই তরুণকে আটক করে। খবর পেয়ে তরুণটির তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাঁদেরও আটক করে।
নিহত কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, কৌশলে মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।