২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘অল্প বয়সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার শিকার হলাম’

খেলার মাঠ রক্ষার জন্য প্রতিবাদে নেমেছিলেন মা। সে কারণে মায়ের সঙ্গে তাঁর কিশোর ছেলেকে আটক করে দিনভর রাখা হয় থানাহাজতে। রোববার রাজধানীর কলাবাগান থানায়। (কিশোরটির মুখ অস্পষ্ট করে দেওয়া হলো)।
ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর রাজধানীর কলাবাগান থানা থেকে ছাড়া পেয়েছেন মাঠরক্ষার আন্দোলনে সক্রিয় সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলে। থানার হাজতখানা থেকে মুক্ত হয়ে সৈয়দা রত্নার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে বলেছেন, অল্প বয়সে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।

পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালের উল্টো দিকের গলির পাশে একটি খোলা জায়গা রয়েছে। এটি তেঁতুলতলা মাঠ হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় শিশুরা সেখানে খেলাধুলা করে।

পাশাপাশি মাঠটিতে ঈদের নামাজ, জানাজাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। এই মাঠে কলাবাগান থানার স্থায়ী ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই এর প্রতিবাদ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন

রোববার সকালে ওই মাঠে ইট-সুরকি ফেলা হলে সেখানে গিয়ে ফেসবুকে লাইভ করেন সৈয়দা রত্না। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাঁর ছেলে বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এলে তাঁকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

দুজনের আটকের খবর পেয়ে বেলা দুইটার দিকে ওই মাঠে যান মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ (বেলা) সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, উদীচীর ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূরসহ কয়েকজন। পরে রাতে মা–ছেলের মুক্তির দাবিতে কলাবাগান থানার সামনে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় বাসিন্দা, মানবাধিকারকর্মী ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর নেতা–কর্মীরা। সৈয়দা রত্না উদীচীর সদস্য।

আরও পড়ুন

বিক্ষোভের মুখে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মা–ছেলেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। মুক্তি পেয়ে সৈয়দা রত্নার ছেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আটকের পর থানার গাড়িতে তুলে পুলিশ আমাকে হুমকি দেয়, “পুঁটি মাছ বেশি লাফাবি না। বেশি লাফালে সমস্যা হবে।”’

তবে থানায় নেওয়ার পর তাঁর সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করা হয়নি বলে জানান আইডিয়াল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি অল্প বয়সেই এমন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার শিকার হলাম।’

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে খেলতে যাওয়া কয়েক শিশুকে কান ধরে ওঠবস করায় পুলিশ। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।