অরিত্রীর আত্মহত্যা: সাক্ষ্য দিলেন ভিকারুননিসার দুই শিক্ষিকা
ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় আরও দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলার ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম এই দিন ঠিক করেন। সর্বশেষ সাক্ষ্য দেওয়া দুজন হলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা লুৎফুর নাহার করিম ও আফসানা আমাতু রাব্বি।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আর বেশি সাক্ষী আদালতে হাজির করা হবে না।
এর আগে এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী ও অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারী।
মামলার অভিযুক্ত দুই আসামি হলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আখতার। দুজনই জামিনে আছেন। শুনানির সময় তাঁরা সোমবার আদালতে হাজির ছিলেন। অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
অরিত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় তাঁর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ-শিক্ষকসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি (দিলীপ অধিকারী) স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাঁদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে বাসায় গিয়ে দিলীপ অধিকারী দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। শান্তিনগরের বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসকেরা অরিত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।