সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি এলে জনগণ রুখে দাঁড়াবে: কবিতা পরিষদ
জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও দূতাবাসে হামলার মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের জনগণের সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু সে দেশের সরকারের উসকানিতে এসব হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় কবিতা পরিষদের উদ্যোগে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল’-এ কথাগুলো বলা হয়। ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননার বিরুদ্ধে এ প্রতিবাদী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়।
মানববন্ধনে জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক মোহন রায়হান বলেন, ভারতের মোদি সরকারের উসকানিতে দূতাবাসে হামলা ও ভাঙচুর হচ্ছে এবং জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করা হচ্ছে। পৃথিবীর সব দেশের পতাকা ও জাতীয় সংগীতকে এ দেশের মানুষ সম্মান করে। এসবের সঙ্গে এ দেশের মানুষের কোনো বিরোধ নেই।
ভারত সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী দেশ উল্লেখ করে এই কবি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে তারা পাশে ছিল। সে দেশের জনগণের সঙ্গে এ দেশের মানুষের কোনো শত্রুতা নেই। ভারতের মানুষের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো যাবে না। কিন্তু অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে বেইমানি ও বিশ্বাসঘাতকতা করে বাংলাদেশের মানুষকে হেয়প্রতিপন্ন করেছে, সেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার দালালেরা এই অপপ্রচারে লিপ্ত।
মোহন রায়হান আরও বলেন, ১৯৭১ সালে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী সরকার যে অবস্থান নিয়েছিল, তার উল্টো অবস্থান নিয়েছে এখন মোদি সরকার। সে সময় তারা বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু মোদি সরকার ফ্যাসিস্ট, খুনি ও লুটেরার পক্ষ নিয়েছে। এ দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না। বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা ও জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করলে এ দেশের মানুষ রুখে দাঁড়াবে।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সদস্যসচিব রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি আক্রমণ এসেছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু এ দেশের মানুষ আধিপত্য চায় না, শান্তি চায়। তবে সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি এলে স্বাধীনতা রক্ষার জন্য মানুষ আবারও লড়াই করবে।
মানববন্ধনে জাতীয় কবিতা পরিষদের সদস্য শাহীন রেজার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন আসাদ কাজল, নূরুন্নবী সোহেল, সুমনা নাজনীন প্রমুখ।