থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপনে অন্যের কষ্টের কারণ হবেন না: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। আজ মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়েছবি: ডিএমপি

‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদ্‌যাপন করতে গিয়ে অন্যের কষ্ট ও ক্ষতির কারণ হয়—এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

নগরবাসীর উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নতুন বছর উদ্‌যাপনে আতশবাজি-রকেট বোমা-পটকা ফুটিয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেবেন না। হাসপাতালে যাঁরা মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন, তাঁদের কষ্টের কারণ হবেন না। ফানুস উড়িয়ে অন্যের ক্ষতি করবেন না।

আজ মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সাজ্জাত আলী। নগরবাসী যাতে শান্তিপূর্ণভাবে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপন করতে পারেন, সে জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

শব্দদূষণ বন্ধের অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, শব্দদূষণ মানুষের শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে। শব্দদূষণ রোধে ঢাকাবাসীর দায়িত্ব রয়েছে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ নানা ধরনের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। চকলেট বোমা, আতশবাজি, রকেট বোমা, পটকা বন্ধে তাঁরা অভিযান চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ১৭২ কেজি আতশবাজিসহ বিস্ফোরক–জাতীয় সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। পাঁচজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’কে কেন্দ্র করে গৃহীত নিরাপত্তাব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, যেসব এলাকায় বেশি জনসমাগম হবে, সেসব এলাকায় আজ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। নিয়মিত টহল দল সাদাপোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া বিশেষায়িত ইউনিটগুলো নিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট ও নববর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগরবাসীর সহযোগিতা একান্ত দরকার। যাঁর যাঁর জায়গা থেকে নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে একটি সুন্দর নগরী গড়ে তোলা সম্ভব।

আরও পড়ুন

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, শব্দদূষণ নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। নতুন বছর উদ্‌যাপন করতে গিয়ে যেন শব্দদূষণ না হয়, সে ব্যাপারে তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে দিনে ও রাতে ঢাকা মহানগরীতে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবেন। আতশবাজি ও পটকা ফুটিয়ে শব্দদূষণ প্রতিরোধে পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা।