পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মামলাটি পুনঃ তদন্তের সিদ্ধান্ত দুদকের
ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে বনানী থানায় করা মামলাটি পুনঃ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
আক্তার হোসেন কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলেন, তাঁরা একে অপরকে আর্থিক লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণকাজে পরামর্শক নিয়োগসংক্রান্ত দরপত্রের অন্যতম দরদাতাকে কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। এসব ব্যক্তির মধ্যে আছে সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (নদীশাসন) কাজী মো. ফেরদাউস, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট লিমিটেডের (ইপিসি) পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, এসএনসি নাভালিন ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্চের সাবেক পরিচালক রমেশ শাহ ও সাবেক সহসভাপতি কেভিন ওয়ালেস।
আক্তার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ২০১২ সালে বনানী থানার মামলা করা হয়। দুই বছর পর মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন হয়েছিল। সেটি নতুন করে তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আক্তার হোসেন বলেন, তদন্তে তথ্য–প্রমাণ না পাওয়ার কারণে তখন চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। এখন পদ্মা সেতুর অনিয়ম নিয়ে তথ্য–প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এ কারণে মামলাটি পুনঃ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।