‘আয়নাঘরের বন্দীদের’ মুক্তির জন্য ডিজিএফআই সদর দপ্তরে মানবাধিকারকর্মীরা

ডিজিএফআই সদর দপ্তরের যাওয়ার কথা জানিয়ে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের সঙ্গে এই ছবিটি যুক্ত করেন পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমছবি : শহিদুল আলমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া

‘আয়নাঘরের বন্দীদের’ মুক্তির জন্য মানবাধিকার কর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরে (ডিজিএফআই) গিয়েছিলেন। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের কচুক্ষেত এলাকায় ডিজিএফআই সদর দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মানবাধিকারকর্মীদের বৈঠকে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসও অংশ নেন।

ফটোসাংবাদিক ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

শহিদুল আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘গুম হয়ে যাওয়া লোকজনকে মুক্ত করার আশায় মায়ের ডাকের সঙ্গে ডিজিএফআই সদর দপ্তরের বাইরে অপেক্ষা করছি। আমাদের সঙ্গে যোগ দেন জাতিসংঘের গোয়েন লুইস ও হুমা খান। রিপোর্ট অনুযায়ী অনেক লোক ভেতরে আটক রয়েছেন।’

জানা গেছে, গুম হওয়া লোকজনকে মুক্ত করার বিষয়ে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য মানবাধিকারকর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল সেখানে যায়। পরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান মানবাধিকার সংগঠন মায়ার ডাকের সহপ্রতিষ্ঠাতা সানজিদা ইসলাম, ফটোসাংবাদিক শহিদুল আলম ও নারী অধিকার নেত্রী শিরীন হক।

প্রায় একই সময়ে ডিজিএফআই প্রধান মেজর জেনারেল হামিদুল হকের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ হুমা খান। পরে জাতিসংঘের এই দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গে ডিজিএফআই কর্মকর্তাদের বৈঠকে যোগ দেন।

ডিজিএফআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় মানবাধিকারকর্মীরা আয়নাঘরের বিষয়ে জানতে চান। তাঁরা আয়নাঘরে আটক বন্দীদের মুক্তি দাবি করেন। তখন তাঁদের বলা হয়, ডিজিএফআই সদর দপ্তরে আয়নাঘরের কোনো অস্তিত্ব নেই।