সিইসি ও ইসি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, এই ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ আইনের ‘হেফাজত’–সংক্রান্ত ধারাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী আজ রোববার রিটটি করেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ৯ ধারায় সিইসি ও ইসি নিয়োগে ‘হেফাজত’ বিষয়ে বলা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতিপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং ওই অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলে গণ্য হবে এবং ওই বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না’।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, নিয়োগ নিয়ে দেশের কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না বলে ধারাটিতে উল্লেখ আছে। এ ধরনের দায়মুক্তি অসাংবিধানিক। ধারাটির মাধ্যমে আগে নিয়োগ দেওয়া নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিচার বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে যা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ, ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতি ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
রিট আবেদনকারীপক্ষ জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ ধারায় দেওয়া দায়মুক্তি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।
রিট আবেদনকারী ১০ আইনজীবী হলেন, আবদুল্লাহ সাদিক, জি এম মোজাহিদুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, জোবায়দুর রহমান, নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সরওয়ার, মোজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক এবং এ কে এম নুরুন নবী।