সাগর-রুনি খুনের রহস্য উন্মোচিত হোক, আমরাও চাই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি খুনের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, এই খুনের রহস্য উদ্ঘাটনের। অনেক বছর তো হয়ে গেছে। আমরাও চাই এ রহস্য উন্মোচিত হোক। সাংবাদিক নেতাদেরও বলেছি, আপনাদের কাছেও যদি কোনো তথ্য থাকে, সেগুলো আমাদের জানালে আমরা সেটিও দেখব।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করে এ হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করে খুনিদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি জানায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। তখন মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেন সংগঠনের সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় উপস্থিত সাংবাদিক নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ডিআরইউ আমাকে স্মারকলিপি দিয়েছে। বিচার তো আমরা করতে পারব না, আমরা তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারব। ডিআরইউর স্মারকলিপি আমি র্যাবের ডিজিকে এখনই পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাড়াতাড়ি একটা কিছু যেন তাঁরা জানান, সেই নির্দেশনা তাদের দেওয়া হবে।’
ডিআরইউর স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বড় বড় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে। অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার কোনো কূলকিনারা তারা করতে পারবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। তাই আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ে সাগর-রুনি হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত খুনিদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা আবারও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। এ হত্যার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ডিআরইউ দাবি থেকে সরে যাবে না।’
ডিআরইউর স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য মাছরাঙা টেলিভিশনের সাবেক বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের এক দশক পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের এখনো শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়নি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় তাঁদের শিশুসন্তানের সামনে নির্মমভাবে খুন হন এ সাংবাদিক দম্পতি।
এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ৯৪ বার পিছিয়েছে।